নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পাগলায় স্বামী পরিত্যক্তা এক প্রতিবন্ধী নারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় বুধবার (২১ এপ্রিল) রাতে প্রতিবন্ধী ওই নারীর ভাই বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।
মামলার আসামিরা হলেন- পাগলা চিতাশাল এলাকার কুসুমবাগ ২ নম্বর গলির খালেক দেওয়ানের ছেলে খলিলুর রহমান (৪২) ও একই এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে মো. রাসেল (৪৩)।
বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে তার বোনের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবন্ধী হওয়ায় বিয়ের দুই মাস পর স্বামী তাকে ফেলে চলে যায়। এরপর থেকে তার বোন তাদের কাছেই আছে।
অপরদিকে, ধর্ষক খলিলুর রহমান তাদের বাসায় এক সময় ভাড়া থাকতেন এবং চিতাশাল ২নম্বর গলিতে তার একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। এছাড়া ধর্ষক রাসেল তাদের প্রতিবেশী। সেই সুবাধে ধর্ষকেরা তাদের পূর্বপরিচিত।
মাঝে মধ্যে তার বাবা-মা প্রয়োজনীয় ওষুধ আনার জন্য বোনকে খলিলুলের দোকানে পাঠাতেন। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি দুপুর ১টায় তার বাবা প্রতিবন্ধী বোনকে ওষুধ আনতে পাঠান। এ সময় খলিলুর রহমান তার বোনকে ফুঁসলিয়ে ওষুধের দোকানের পেছনে রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এভাবে প্রায় সময় তার বোনকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করতেন খলিলুর।
অপরদিকে, ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তাদের ফুফুর বাসায় যাওয়ার পথে রাসেল তার বোনকে ফুঁসলিয়ে নিজ বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন। গত কয়েকদিন যাবৎ তার বোন অসুস্থ বোধ করলে চলতি ১১ এপ্রিল নিউ ডক্টরস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে তার বোন তিনমাস এক দিনের গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি ধরা পরে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, বাদীর লিখিত অভিযোগ তদন্ত করে প্রমাণ পেয়ে বুধবার রাতে তা মামলা হিসেবে নেওয়া হয়। আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ভিনন্নবার্তা/এমএসআই