1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :

৫ দিন ধরে রংপুরের সঙ্গে উত্তরের চার জেলার বাস চলাচল বন্ধ

ভিন্নবার্তা প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ৭:৩৬ pm

দিনাজপুর ও রংপুর জেলা মালিক সমিতির দ্বন্দ্বে পাঁচ দিন ধরে রংপুর থেকে উত্তরের চার জেলার সঙ্গে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে এসব রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা। তবে নীলফামারীর সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল পর্যন্ত রংপুরের এবং সৈয়দপুর থেকে নীলফামারী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও বাস চলাচল করছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর থেকে যেসব বাস গেটলক রংপুরে চলাচল করতো, সেগুলো সৈয়দপুরে সব যাত্রীর নামিয়ে দিচ্ছে। আবার সৈয়দপুর থেকে তারা যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে রওনা দিচ্ছে। একইভাবে রংপুর থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃজেলা কোনো বাসকে সৈয়দপুর অতিক্রম করতে দেখা যায়নি। সেগুলোও সৈয়দপুর থেকে যাত্রী উঠাচ্ছে। এতে চাপ বেড়েছে সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে। এতে করে দুর্ঘটনা বা অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করছেন নীলফামারী জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি।

দিনাজপুর ও নীলফামারী বাস মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পঞ্চগড় থেকে রংপুর হয়ে বগুড়া ও রংপুর থেকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ি হয়ে জয়পুরহাট পর্যন্ত চলাচলের কথা। কিন্তু রংপুরের নেতারা পঞ্চগড় থেকে বগুড়ায় বাস চলাচল করতে না দিয়ে তারা রংপুর থেকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ি দিয়ে জয়পুরহাট রুটে তাদের বাস চলাচল করতে চায়। এ নিয়ে দিনাজপুর জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ ও রংপুর মোটর মালিক সমিতির দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। ফলে রোববার থেকে উভয়গ্রুপ সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়ে সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল পর্যন্ত চলাচল করে। নীলফামারীর সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রী উঠানামা চলছে।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থেকে অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে রংপুরে চিকিৎসক দেখাতে রওনা হন আনারুল হক (৩০)। গেটলক বাসে উঠে রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। কিন্তু বাস মালিক সমিতির দ্বন্দ্বের কারণে সরাসরি বাস চলাচল না করায় সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে সৈয়দপুর বাস টার্মিনালের অপর প্রান্তে গিয়ে ওঠেন রংপুরের বাসে।

তিনি জানান, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ স্ত্রী ছায়মা বেগমকে ভর্তি করেই বাড়ি ফিরে যাবেন তিনি। কিন্তু বীরগঞ্জ পর্যন্ত সরাসরি কোনো গাড়ি না থাকায় আবারও দুর্ভোগে পড়বেন। হঠাৎ কেন গাড়ি বন্ধ হয়েছে তা কেউ জানেও না।

পঞ্চগড়ে যাওয়ার জন্য সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক যাত্রী রওশন আরা বলেন, রংপুরের কোনো গাড়ি সৈয়দপুর পার হচ্ছে না। সৈয়দপুরের টিকিট পেতেও খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সিটও পাওয়া যাচ্ছে না, খুব হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। শুনলাম গাড়ির মালিক সমিতির সমস্যা হয়েছে। তাদের জন্য আমার মতো যাত্রী সাধারণকে ভুগতে হচ্ছে। দেশে কোনো কিছুর সিস্টেম নেই। সাধারণ মানুষ জিম্মি।

রংপুরের গুপ্তপাড়া বাসিন্দা ব্যবসায়ী মীর আনোয়ার বলেন, ব্যবসায়িক কাজে পঞ্চগড়ে প্রায় যেতে হয়। কিন্তু ভেঙে যেতে হচ্ছে। বাস পাওয়ায় যাচ্ছে না।

মোটর শ্রমিক রফিকুল ইসলাম বলেন, চার জেলার গাড়ি এখন সৈয়দপুরে যাত্রী ওঠানো হচ্ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে চারগুণ ভিড় বাড়ছে। গাড়ির চাপ, যাত্রীর চাপ খুবই বেশি। ঠুনকো বিষয় নিয়ে এই ঝামেলা। মালিক সমিতিগুলো ইচ্ছে করলে দুই মিনিটে সমস্যা সমাধান করতে পারবে।

দিনাজপুর জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি ভবানী শংকর আগরওয়ালা বলেন, এ ঘটনার জন্য রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফতাবুজ্জামান লিপন সম্পূর্ণ দায়ী। তার হঠকারী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের চেষ্টাই এ উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

তবে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফতাবুজ্জামান লিপনের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ না করায় কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন



আরো




মাসিক আর্কাইভ