সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চীন, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, উত্তর কোরিয়াসহ বেশকিছু দেশ করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। এসব দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যু শূন্যের কোঠায়। বিভিন্ন দেশে আক্রান্ত রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। সারাবিশ্বে ৩০ লাখ ৬৪ হাজার ১৬১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই লাখ ১১ হাজার ৫৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ২২ হাজার ৩৬৯ জন।
ইতালিতে একদিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৬৯৬ জন
ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত হওয়া রোগীদের সুস্থতার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৬৯৬ জন করোনা রোগী। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৬৬ হাজার ৬২৪ জন।
ইতালিতে গত কয়েকদিনে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ফলে আশার আলো দেখছে দেশটির ৬ কোটি মানুষ। একদিনে ইতালিতে ৩৩৩ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ইতালিতে মোট মারা গেছে ২৬ হাজার ৯৭৭ জন।
এদিন ইতালিতে আরও এক হাজার ৭৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৯৯ হাজার ৪১৪ জনে পৌঁছেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে সুস্থ প্রায় দেড় লাখ
বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমেরিকা। আমেরিকায় এ পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৭৯৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মারা গেছেন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখ ১০ হাজার ৩৫৬ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৯০ জন।
স্পেনে সুস্থ ১ লাখেরও বেশি হাজার মানুষ
স্পেনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৭৯৩ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ২৯ হাজার ৪২২ জন। দেশটিতে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৩২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
জার্মানিতে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ মানুষ
জার্মানিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৫৮ জন। এর মধ্যে ৬ হাজার ১২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে ১ লাখ ১৪ হাজার ৬০০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চীনে সুস্থ হয়েছেন ৭৭ হাজার মানুষ
চীনের গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনার কেন্দ্রস্থল চীন ইতোমধ্যে আক্রান্ত ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। এখন পর্যন্ত চীনে ৪ হাজার ৬৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে চীনে। আক্রান্ত হয়েছে ৮২ হাজার ৮৩০ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭৭ হাজার ৪৭৪ জন। এদিকে চীনের উহান শহরে সব করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে যাওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ফ্রান্সে ৪৫ হাজার ৫১৩ জন, ইরানে ৭০ হাজার ৯৩৩ জন, ব্রাজিলে ৩১ হাজার ১৪২ জন, কানাডায় ১৮ হাজার ২৬৮ জন, সুইজারল্যান্ডে ২২ হাজার ২০০ মানুষ সুস্থ হয়েছেন।
চীনের উহান শহরে গত বছর ডিসেম্বর থেকে দেখা যাওয়া এই নতুন ভাইরাস মূলত ফুসফুসে বড় ধরণের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষ্মণ। নতুন ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এটি অনেকটাই সার্স ভাইরাসের মতো। এখনও পর্যন্ত এ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি।
ভিন্নবার্তা/এমএসআই