1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :

২০ হাজার টাকার জন্য খুন করা হয় বাড়ির মালিক আমিনুলকে

ভিন্নবার্তা প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০২১ ৪:৩১ pm

গাজীপুরে ২০ হাজার টাকার চাঁদা না দেয়ায় নির্মাণাধীন পাঁচতলা বাড়ির মালিককে হত্যা করা হয়। নিহতের নাম আমিনুল ইসলাম খন্দকার (৬০)। তিনি গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানার দক্ষিণ পানিশাইল পদ্মা হাউজিং প্রকল্পের এ ব্লকের ১ নম্বর রোডের ৩৯ নম্বর বাড়ির মালিক।

নির্মানাধীন ভবনটির তৃতীয় তলার বাথরুম থেকে গত ১৫ জুলাই বিকেলে আমিনুলের গলাকাটা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া জাহাঙ্গীর আলম সোহাগকে (৩৮) গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি বের করে দেয়। জাহাঙ্গীর নীলফামারী জেলা সদরের পূর্ব কুখাপাড়ার নজরুল হোসেনের ছেলে। তিনি কাশিমপুর দক্ষিণ পানিশাইল পদ্মা হাউজিং প্রকল্পের সাদেকের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

এ বিষয়ে শনিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ-জিএমপি কর্মকর্তারা গ্রেফতারকৃত আসামির স্বীকারোক্তির তথ্য দিয়ে জানান, আসামি জাহাঙ্গীর গত ১৩ জুলাই রাত ৮টায় আমিনুল ইসলামের নির্মানাধীন পাঁচতলা ভবনের তিন তলায় উঠে ভিকটিম আমিনুলকে ফোন করে জানায় ভবনে সন্দেহজনক দুই তিনজন লোক উঠেছে। আসামি জাহাঙ্গীরের ফোন পেয়ে ভিকটিম আমিনুল উপরে উঠে টর্সের আলোতে লোক খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি কাউকে না পেয়ে তিন তলার একটি কক্ষ চেক করার সময় পেছন থেকে আসামি জাহাঙ্গীর বাড়ির মালিক আমিনুলের মুখ চেপে ধরে বিশ হাজার টাকা দাবি করে। ভিকটিম আমিনুল টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামি জাহাঙ্গীর গার্মেন্টসের ধারালো কাটিং মেশিন (ছুরি) আমিনুলের গলায় ধরে ভয় দেখায়।

এতে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আসামির হাত সামান্য কেটে ও ছিলে যায়। ভিকটিম আমিনুল আত্মরক্ষার্থে আসামির ডান হাতের আঙ্গুল কামর দিলে আসামি ধারালো কাটিং ছুরি দিয়ে ভিকটিমের গলায় আঘাত করে। এভাবে ভিকটিম আমিনুলের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর আসামি ভিকটিমের পাঞ্জাবির পকেট থেকে ৯৯৭ টাকা নিয়ে যায় এবং ভিকটিমের লাশ বাথরুমের ভেতর ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেয়। ঘটনার দিন ভিকটিম আমিনুলের পরিবারের সদস্যরা গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। তার সাথে ফোনে পরিবারের সদস্যদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ভবনের ঠিকাদার ও নির্মাণশ্রমিকদেরকে বিষয়টি গ্রামের বাড়ি থেকে জানানো হয়। তারা বাড়ির মালিক আমিনুলকে খুঁজতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে গত ১৩ জুলাই বিকেল ৫টায় নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় তলার বাথরুম থেকে গলাকাটা অর্ধলগিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ হত্যাকাণ্ডের মামলা হওয়ার পর জিএমপি উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জাকির হাসানের তত্বাবধানে তথ্য প্রযুক্তি ও ম্যানুয়েল ইন্টিলিজেন্সের সহায়তায় জিএমপি অপরাধ (উত্তর) বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুরিশ কমিশনার রেজওয়ান আহমেদের নেতৃত্বে সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোনাবাড়ী জোন) সুভাশীষ ধর কাশিমপুর থানার একাধিক টিম নিয়ে কাশিমপুর ও পাশের আশুলিয়া থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। গতকাল শুক্রবার সকালে আসামি জাহাঙ্গীরকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে।

ভিন্নবার্তা ডটকম/এন



আরো




আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  

মাসিক আর্কাইভ