লাদাখ নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের ভুল ব্যাখার পরিপ্রেক্ষিতে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এ বিবৃতি দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে চোখ তুলে তাকানোর কারও সাহস নেই। যারা চেয়েছিল, তাদের লাদাখ সীমান্তে উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছে সেনাবাহিনী।’
বিবৃতি আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্বদলীয় বৈঠকে স্পষ্ট করে বলেছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) লঙ্ঘণ করার যেকোনো প্রয়াসে প্রতিক্রিয়া জানাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সবর্দলীয় বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘ভারতের সীমান্তই অতিক্রম করতে পারেনি চীন। দখল করতে পারেনি কোনো সেনাচৌকি।’
অনুপ্রবেশ ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে মোদি উত্তর দেন, চীনের আচরণে গোটা দেশ ক্ষুব্ধ। কিন্তু সেনা তৎপরতায় ভারতীয় ভূখণ্ডে ঘাঁটি গাড়ার সাহস নেই কারও।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, চীনের সঙ্গে সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনায় ভারতের অবস্থান স্পষ্ট। প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখলেও সার্বভৌমত্ব রক্ষাকেই গুরুত্ব দেবে নয়াদিল্লি। এ কারণে লাদাখ নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনাবহর এবং টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ভারতের সর্বদলীয় বৈঠকে আরও জানানো হয়েছিল, চীনা বাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখায় অনেক বেশি শক্তি নিয়ে এসেছে এবং ভারতের সম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য ছিল, যারা ভারতের ভূমি লঙ্ঘণ করার চেষ্টা করেছিল, তাদেরকে সেনাবাহিনী উপযুক্ত শিক্ষা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও জোর দিয়ে বলেছিলেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী দেশের সীমান্ত রক্ষায় কোনো প্রকার প্রচেষ্টা ছাড়বে না। ভারতীয় অঞ্চল কী; তা মানচিত্রেই পরিষ্কার। সরকার এটি রক্ষার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।