করোনাভাইরাসের সব ধরনের নতুন টিকা, নির্ণয় পদ্ধতি এবং চিকিৎসা বিশ্বের সবার কাছে সমানভাবে পৌঁছানো নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শুক্রবার করোনাভাইরাস মোকাবিলা কাজে গতি আনার এক পরিকল্পনা উন্মোচনের সময় এ আহ্বান জানান সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস
প্রথমবারের মতো মানবদেহে করোনাভাইরাসের পরীক্ষামূলক টিকা প্রয়োগ শুরু করেছে ইউরোপ। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুই জন স্বেচ্ছাসেবীর দেহে এ টিকা প্রয়োগ করে। এছাড়া সম্প্রতি জার্মানির একটি প্রতিষেধকও মানুষের ওপর পরীক্ষার সবুজ সংকেত পেয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি সম্ভাব্য প্রতিষেধকই ক্লিনিক্যাল টেস্টে উত্তীর্ণ হয়ে মানুষের ওপর পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হয়েছে।
এমন অবস্থায় শুক্রবার এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে কার্যকর ওষুধ, নির্ণয় এবং টিকা উদ্ভাবন কাজে গতি আনার ঘোষণা দেন ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস। এ কর্মসূচিকে যুগান্তকারী সহযোগিতা আখ্যা দেন তিনি। ফুসফুসের রোগকে সাধারণ ঝুঁকি আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, কেবল ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপে এটাকে পরাজিত করা যায়। গেব্রিয়াসিস বলেন, ‘অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি যখন কোনও রোগের প্রতিরোধের উপকরণ পাওয়া যায় তা সবাই সমানভাবে গ্রহণ করতে পারে না। আমরা এবার তা ঘটতে দিতে পারি না।’
ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়ান ওই সম্মেলনে বলেছেন, করোনা প্রতিরোধ, নির্ণয় ও চিকিৎসায় ৭৫০ কোটি ইউরোর তহবিল গড়ে তুলতে হবে। আগামী মে মাস থেকে এই ফান্ড গড়ে তোলা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা কেবল প্রথম পদক্ষেপ, ভবিষ্যতে আমাদের আরও দরকার হবে।
আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা করোনা মোকাবিলায় ডব্লিউএইচও নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই ভাইরাসের কাছে আফ্রিকা মহাদেশ অত্যন্ত দুর্বল। আর এই মহাদেশেরই বেশি সহায়তা প্রয়োজন।
ভিন্নবার্তা/এমএসআই