ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দিনকে দিন বেড়েই চলেছে যানবাহন। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মহাসড়কটি ফোর লেন করলেও আর বেশিদিন নেই এই মহাসড়কে যানজটের রূপ দেখার। কেননা ব্যস্ততম এই সড়কটির উপরেই গাড়ি রেখে ঘুমিয়ে পড়েন চালকরা। এছাড়া সড়কে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না থাকায় দুর্ভোগ বাড়ছে। শুধু তাই নয়, মহাসড়কটিতে রয়েছে ছোট-বড় অনেক গর্ত। এতে দুর্ঘটনার শিকারও হচ্ছে অনেক যানবাহন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মিঠাছরা এলাকায় দেখা যায়, এক ট্রাকচালক সড়কের উপরেই গাড়ি রেখে ঘুমাচ্ছেন। ছবি তুলতে গেলে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন। পরে আবার ঘুমিয়ে পড়েন। আবার অনেক সময় এই মহাসড়কটিতে প্রায় দুই লাইন ধরে ধীরগতিতে যানবাহন চলতে দেখা যায়।
ট্রাকচালকের সহকারী আলাউদ্দিন। সেও ঘুমে কাতর। সড়কে গাড়ি রেখে কেন ঘুমিয়েছেন- তা জানতে চাইলে আলাউদ্দিন বলেন, রংপুর থেক্কা আইছি ওস্তাদ (রশিদুল ইসলাম ট্রাকচালক) একটু বিশ্রাম লইবো, এরপর চলি যামু।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের জোরারগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক শরফুদ্দিন বলেন, সরকার ইতোমধ্যে মহাসড়ককে আধুনিকায়ন ও ছয় লেনে উন্নীত করতে প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর বাস্তবায়ন হলে অনেক সংকটই লাঘব হবে। চালকদের বিশ্রামের জন্য আলাদা জায়গা থাকবে।
সড়কে ফোর লেনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, সরকার এই ফোর লেনকে সিক্স লেন করার পরিকল্পনায় রেখেছেন। তবে তা কখন হবে এখনো সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রায় সড়ক সংস্কার ব্যবস্থাপনাকে আরও জোরদার করা হবে।
ভিন্নবার্তা ডটকম/আর