‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিচল’ স্লোগানকে সামনে রেখে বিএফইউজের এই নির্বাচনে সভাপতি, সহ-সভাপতি, মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, কোষাধ্যক্ষ, দফতর সম্পাদক ও ৪টি নির্বাহী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৪ প্রার্থীরা।
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী, সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবদুল জলিল ভুঁইয়া, আবু জাফর সূর্য ও ওমর ফারুক। সহ-সভাপতি পদে অমিয় ঘটক পুলক, আজমল হক হেলাল, মধুসূদন মণ্ডল, মফিদা আকবর ও সালাম মাহমুদ।
সভাপতি প্রার্থী আবু জাফর সূর্য বলেন, আমাকে সভাপতি পদে ভোট দেয়ার অনুরোধ করছি। কেন আমাকেই ভোট দিবেন এ প্রশ্ন যে কোনো ভোটার করতেই পারে? কারণ এ পদে আরও প্রার্থী রয়েছে। তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ভক্তি রয়েছে সব সময়। ট্রেড ইউনিয়ন মানেই শ্রমিকের অধিকারের সুরক্ষা এবং সেইসবের জন্য সজাগ থাকতে হয়। চালিয়ে যেতে হবে আন্দোলন। ডিইউজে’র সভাপতি পদে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে সাংবাদিকদের পাশে থেকেছি। মালিক পক্ষের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আন্দোলন সংগ্রাম করে বিজয়ী হয়েছি। কোনো আপস করিনি। আন্দোলন সংগ্রাম সততাকে পুঁজি করে সাংবাদিকদের পাশে ছিলাম। ডিইউজে’র সফলতার ধারাবাহিকতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশের সাংবাদিক সমাজের দাবি আদায় ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তাই সভাপতি পদে আমি ভোট প্রার্থনা করছি।
মহাসচিব পদে লড়ছেন আবদুল মজিদ, লায়েকুজ্জামান ও দীপ আজাদ। যুগ্ম মহাসচিব পদে নাসিমা আক্তার সোমা, বরুন ভৌমিক নয়ন, মানিক লাল ঘোষ ও শেখ মামুনুর রশীদ। কোষাধ্যক্ষ পদে খায়রুজ্জামান কামাল, নজরুল কবির ও মোহাম্মদ আবু সাঈদ।
দফতর সম্পাদক পদে এম শাহজাহান, মাসুম আহাম্মদ, মীর আফরোজ জামান, রেজাউল করিম রেজা, শাহ আলম ডাকুয়া ও সেবিকা রানী।
৪টি সদস্য পদের বিপরীতে ১০ প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন: আবদুল খালেক লাভলু, উম্মুল ওয়ারা সুইটি, এম এ রহিম রনো, ড. উৎপল কুমার সরকার, নূরে জান্নাত আখতার সীমা, মো. সফিউর রহমান, শাহজাহান স্বপন, শেখ নাজমুল হক সৈকত, শফিউদ্দিন আহমেদ বিটু ও হামিদ মোহাম্মদ জসিম।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা তিন হাজার ৯৭৭ জন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শাহজাহান সরদার।
ভিন্নবার্তা/এমএসআই