সাভারের আশুলিয়ায় এক মাদরাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দেওয়াল টপকাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় ওই ছাত্রের মৃত্যু হয় বলে দাবি মাদরাসা কর্তৃপক্ষের।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে মাদরাসার পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা বিষয়টিকে ‘রহস্যজনক’ জানালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত ওই শিক্ষাথীর নাম আরাফাত হোসেন (১২)। সে রাঙ্গামাটি জেলার আজহার আলীর ছেলে। সে আশুলিয়ার বাইদগাঁও এলাকার জামিয়াতুল মুজাফফর এতিমখানার আবাসিক ছাত্র ছিল।
মাদরাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা খালিদ হোসেন বলেন, ‘আরাফাত প্রতিদিন সকালে মাদরাসার দেওয়াল টপকিয়ে গো-সাপকে খাবার দিতো। আজও হয়তো সে একই কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।
মাদরাসার কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ সকালে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাস্তা করে আরাফাত। এরপর থেকে তাকে আর দেখা যায়নি। বিষয়টি মাদরাসা কর্তৃপক্ষের নজরে এলে তারা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে এক ব্যক্তি মাদরাসা দেওয়ালের বিপরীত পাশে আরাফাতকে পড়ে থাকতে দেখেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালের জরুরি চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে মাদরাসার কয়েকজন লোক আমাদের এখানে আরাফাতকে নিয়ে আসেন। তবে হাসপাতালে আনার দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগেই তার মৃত্যু হয়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।
ভিন্নবার্তা/এমএসআই