1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :

বিমানবন্দরের গাড়ি পার্কিংয়ের ছাদে আরটিপিসিআর ল্যাব

ভিন্নবার্তা প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২:০২ pm

বড় ধরনের জটিলতায় পড়েছে বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ। ল্যাব বসাতে সদ্যই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন পাওয়া সাত প্রতিষ্ঠানকে গাড়ি পার্কিংয়ের ছাদে জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

মূলত জটিলতার শুরুও এখানেই। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বলছে, খোলা আকাশের নিচে ল্যাব স্থাপন করা হলে সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত ফলাফল নাও আসতে পারে, এতে তৈরি হতে পারে নতুন সংকট। এ ছাড়া অনুমোদন পাওয়া সাত প্রতিষ্ঠানের মান যাচাইয়ে তাদের তালিকা পাঠানো হচ্ছে দুবাইয়ে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত পেলেই ল্যাব স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে।

তবে ঠিক কবে নাগাদ দুবাই থেকে ছাড়পত্র মিলবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না কেউই।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সিভিল অ্যাভিয়েশন সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সভায় অনুমোদিত ৭ প্রতিষ্ঠানের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরস-এসওপি চেয়েছে সংস্থাটি, যা পাঠানো হবে দুবাইয়ে, তারা এসব প্রতিষ্ঠানের মান যাচাই-বাছাই করে যাদের চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে তারাই ল্যাব স্থাপন করতে পারবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।

সিভিল অ্যাভিয়েশন চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ঢাকার আরব আমিরাতের দূতাবাস থেকে চিঠি দিয়ে নির্বাচিত ল্যাবগুলোর এসওপি চাওয়া হয়েছে। দূতাবাস এই এসওপি আরব আমিরাতে পাঠাবে। সেখান থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ল্যাব স্থাপন করতে পারবে বিমানবন্দরে।

সাত প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরের মধ্যে এসওপি জমা দেওয়া খুবই কঠিন কাজ। এমন শর্তে ল্যাব স্থাপনে আরও দেরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা। এসব প্রতিষ্ঠান বলছে সরকারের বেঁধে দেওয়া তিন থেকে ছয় দিনের মধ্যে ছাদের ফাঁকা জায়গায় আরটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা অসম্ভব। কারণ ছাদের ওপরে ল্যাব স্থাপন করতে গেলে সব সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করতে কমপক্ষে মাসখানেকের বেশি সময় প্রয়োজন। আবার নির্ধারিত সময়ে ল্যাব স্থাপন করতে না পারলে আর্থিক জরিমানার মুখে পড়তে পারেন বলেও চিন্তিত তারা।

এসওপি সব প্রতিষ্ঠানের আছে উল্লেখ করে তারা বলছেন, এসব কারণে ল্যাব স্থাপনে দেরি হলে শেষমেশ তার ক্ষতি গিয়ে পড়বে প্রবাসীদের ওপরই। প্রতিষ্ঠানগুলোর অসন্তোষ রয়েছে বেঁধে দেওয়া সময়সীমা নিয়েও। ৩-৪ দিনের মধ্যে ল্যাব স্থাপন অনেক কঠিন উল্লেখ করে তারা বলছেন, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে দফায় দফায় ধরনা দিয়ে সুরাহা হচ্ছে না কোনোকিছুরই। আবার অল্প জায়গায় কোনো প্রতিষ্ঠান কতটুকু জায়গায় কার্যক্রম পরিচালনা করবে তা নিয়েও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

আবার বিমানবন্দরের ভেতরে কোনো কক্ষ ল্যাবের জন্য বরাদ্দ দিলে এই সময়ের মধ্যেই তা চালু করা সম্ভব বলেও মনে করছে প্রতিষ্ঠনগুলো। এ বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো ইতিবাচক সাড়া মিলছে না বলেও অভিযোগ প্রতিষ্টানগুলোর।

যদিও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা অফিসিয়ালি সিদ্ধান্ত নিয়েই পার্কিংয়ের ছাদের ল্যাবের জন্য জায়গা বরাদ্দ করেছেন। এখন কত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো তা করতে পারবে সেটা তাদের বিষয়। ল্যাব স্থাপনের জন্য চাহিদামতো রুম তাদের কাছে নেই। তবে অগ্রীম জামানত নেওয়া হবে না উল্লেখ করে সিভিল অ্যাভিয়েশন বলছে, নির্ধারিত জায়গায় অবকাঠামোসহ ল্যাব স্থাপনে জায়গার ভাড়াসহ সব খরচ অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলোই বহন করবে। এত কম জায়গায় ল্যাব স্থাপন সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটি কঠিন, তবে সবার সজ্ঞে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আবার এসব ল্যাব পরিচালনায় ২৫টি শর্ত আরোপ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যার মধ্যে রয়েছে কম সময়ে বেশি পরীক্ষা, ল্যাবের গুণগতমান বজায় রাখার জন্য ন্যূনতম বায়োসেফটি লেভেল-২ হতে হবে। নমুনা সংগ্রহের পর আরটিপিসিআর মেশিনে আনুমানিক তিন ঘণ্টায় একসঙ্গে ৯৪টি পরীক্ষা করতে হবে। গুণগত পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ কক্ষ, কুল বক্স প্রত্যেকটি বুথে থাকতে হবে, বায়োসেফটি কেবিনেট, ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ডিপ ফ্রিজ, পিসিআর কেবিনেট, মিনি সেন্ট্রিফিউজ, আর ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ফ্রিজও থাকতে হবে। ল্যাবরেটরিতে চেঞ্জিং রুম, পর্যাপ্ত পরিমাণ পিপিই, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বায়ো হ্যাজার্ড ব্যাগ, অটোক্লেভ মেশিন, ওয়াশিং এবং হ্যান্ড ওয়াশিং সুবিধাও থাকতে হবে। বলা হয়েছে প্রিজম বা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে অনুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে থাকতে হবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চুক্তি।

মূলত আরব আমিরাত সরকারের শর্ত অনুযায়ী, দেশটিতে প্রবেশ করতে হলে সঙ্গে থাকতে ৬ ঘণ্টা আগের করোনা নেগেটিভ সনদ। এরই প্রেক্ষিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করে আসছেন আটকেপড়া প্রবাসীরা।

ভিন্নবার্তা ডটকম/এন



আরো




মাসিক আর্কাইভ