1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :
শিরোনাম :
গাজায় ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে লাগতে পারে ১৪ বছর : জাতিসংঘ ‌‘বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের সুযোগ রয়েছে’ বিএনপির ৭৫ নেতা বহিষ্কার থানাসহ পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্যোগ বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে বুবলীকে নিয়ে নতুন করে যা বললেন অপু বিশ্বাস চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী আগামীকালের জাপার একাংশের সভা স্থগিত, বিতরণ করবে পানি ও স্যালাইন নতজানু সরকারকে ক্ষমতায় রেখে মানুষের সমস্যার সমাধান হবে না : সালাম

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আমিনুল গ্রেপ্তার

ভিন্নবার্তা প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৩ জুলাই, ২০২২ ২:৩০ pm

রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে কে এম আমিনুল হক ওরফে রজব আলী (৬৯) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল শনিবার (২ জুলাই) সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-২ এর একটি দল যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

র‍্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে গণহত্যা, নির্যাতনসহ মনবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করে। সে ভৈরবে একটি কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় পাকিস্তানি ইসলামি ছাত্রসংঘের কলেজ শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে দালাল আইনে ৩টি মামলায় ৪০ বছর সাজা হয় তার। কিন্তু রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমায় ১৯৮১ সালে মাত্র ১০ বছর সাজা ভোগ করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পায়। এরপরে ফের ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দাখিল করলে মৃত্যুদণ্ডের সাজা হয়। তবে মামলার পরেই তিনি আত্মগোপনে চলে যান। হানাদার ক্যাম্পের প্রশিক্ষণ নেয়ার সময় সখ্যতা গড়ে ওঠা মিত্রদের সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তান যেত সে। পরিচিতদের দেশ ও রাষ্ট্রবিরোধী দুটি বইও লেখেন তিনি।

কে এম আমিনুল হক ওরফে রজব আলীকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে রাজধানীর কাওরান বাজারের র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর কে এম আমিনুল হকের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও লুটপাটসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ৭টি অভিযোগ আনা হয়। ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর বর্ণিত অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ১৮ মে বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল আমিনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে এবং গত ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর তার মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়। তিনি আরো বলেন, র‍্যাব পলাতক আসামীদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারী চালিয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল তাকে আমরা গ্রেপ্তারে সমর্থ হই।

র‍্যাব মুখপাত্র মঈন বলেন, গ্রেপ্তার আমিনুল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিপক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়ে কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ এলাকায় দেশের নিরীহ মুক্তিকামী মানুষকে হত্যাসহ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সে ভৈরবে পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার জন্য এলাকায় ‘আলবদর’ বাহিনী গঠন করে ও কিশোরগঞ্জ জেলার কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানার কৃষ্ণপুর, গদাইনগর ও চন্ডিপুর গ্রামে এবং কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার সদানগর ও সাবিয়ানগর গ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানার ফান্দাউক এলাকায় গণহত্যা, লুটপাট, ঘরবাড়ি লুন্ঠন ও নির্যাতন করে। এছাড়াও, স্বাধীনতাকামী নিরীহ বাঙ্গালিদের অপহরণ পূর্বক রাজাকার ক্যাম্পের টর্চার সেলে নির্যাতন করে হত্যা করে।

দেশ স্বাধীন হলে ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। ১৯৭২ সালে তার বিরুদ্ধে অষ্টগ্রাম থানায় দালাল আইনে ৩টি মামলায় ৪০ বছর সাজা হয়। কিন্তু রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমায় ১৯৮১ সালে মাত্র ১০ বছর সাজা ভোগ করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পায়। গ্রেপ্তারকৃত ১৯৮২ সালে জেল থেকে বের হয়ে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে ও বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকবার পাকিস্তান গমন করে। ১৯৯৭ সালে সে নিজ এলাকা ত্যাগ করে ঢাকায় চলে আসে। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে তার বিরুদ্ধে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দাখিল করা হলে সে আত্মগোপনে চলে যায়। এ সময় সে গ্রেফতার এড়াতে রাজধানীর ধানমন্ডি ও কলাবাগানসহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিকবার বাসা পরিবর্তন করতে থাকে। আত্মগোপনে থাকাকালে সে সাধারণত জনসমাগম স্থান, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ছাড়াও তার ব্যক্তিগত পরিচয় প্রকাশ পায় এমন স্থান এড়িয়ে চলত।

কমান্ডার মঈন বলেন, আমিনুল “আমি আলবদর বলছি” ও “দুই পলাশী দুই মীরজাফর” নামে দুইটি বই প্রকাশ করে। যেখানে সে মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের শোকাবহ ১৫ আগস্টের দিনসহ সামগ্রিক বিষয়গুলো অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের আত্মস্বীকৃতি হিসেবে নিজেকে “আলবদর কমান্ডার” দাবী করে। অতঃপর ২০১৪ সালে তার প্রকাশিত “দুই পলাশী দুই মীরজাফর” বইটিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা তথ্য সন্নিবেশন করায় সরকার কর্তৃক বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা রুজু হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে র‍্যাব মুখপাত্র বলেন, আত্মগোপনে থাকা কালিন সময় তিনি পাকিস্তান গেছেন।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন



আরো




মাসিক আর্কাইভ