শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলায় ২ সন্তানের জননী আঁখি আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত আঁখি আক্তার নড়িয়া উপজেলা নশাসন ইউনিয়নের ডগ্রীবাজার এলাকার সৌদিপ্রবাসী হোসেন হাওলাদারের স্ত্রী।
মঙ্গলবার রাতে ডগ্রীবাজার স্বামীর বাড়িতে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে নড়িয়া থানার ওসি অবনী শংকর রায় জানিয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাসুর, দেবর ও ভাগ্নিসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে নড়িয়া উপজেলার মুক্তারের চর ইউনিয়নের মুলপাড়া চেরাগ আলী বেপারীকান্দি এলাকার আনোয়ার হোসেন কাজীর মেয়ে আঁখি আক্তারের একই উপজেলার ডগ্রীবাজার এলাকার মৃত শহর আলী হাওলাদারের ছেলে সৌদিপ্রবাসী হোসেন হাওলাদারের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে স্নেহা (১২) ও জিন্তু (৪) নামের দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে প্রতিদিনের মতো তার নিজ বাড়িতে রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমাতে যায়। রাতের যে কোনো সময় দুর্বৃত্তরা তাকে পেটে ও মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। তার লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল। সকালে তার মেয়ে স্নেহা মায়ের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। তখন সে আর্তচিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাসুর মাস্টার আবদুল কাদের হাওলাদার, দেবর ছায়েদ হাওলাদার ও ভাগ্নি নাছিমা আক্তারসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের মেয়ে স্নেহা আক্তার বলেন, খাওয়া-দাওয়া শেষে করে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে উঠে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় আমার মায়ের লাশ মেঝেতে পড়ে আছে। আমি চিৎকার দিলে দাদি এসে পুলিশকে খবর দেন। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।
নিহত আঁখি আক্তারের বাবা আনোয়ার হোসেন কাজী বলেন, মেয়েকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা শুনে আমি মেয়ের শ্বশুরবাড়ি যাই। গিয়ে দেখি মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। মেয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
নড়িয়া থানার ওসি অবনী শংকর রায় বলেন, মঙ্গলবার রাতে নড়িয়া উপজেলার ডগ্রীবাজার এলাকার সৌদিপ্রবাসী হোসেন হাওলাদারের স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার মাথায় ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
ভিন্নবার্তা/এমএসআই