কৃষি পণ্যের ভাণ্ডার বৃহত্তম ময়মনসিংহ জেলার জনসাধারণের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নে জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চারলেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার যার ফলশ্রুতিতে প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৮৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ফোর লেন সড়কটি সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে সম্পন্ন করার পর, ২ জুলাই ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহাসড়কটির শুভ উদ্বোধন করেন।
৪-লেনে উন্নীত করার জন্য ১ হাজার ৮১৫ কোটি ১২লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ফোর লেনে ভালুকা বাসস্ট্যান্ডের ১০০ গজ দক্ষিণে রাস্তার কার্পেটিং এ খানাখন্দের সৃষ্টি হলে সওজ এর তত্ত্বাবধায়নে রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং গর্ত গুলো কাদাযুক্ত অবস্থায় রয়েছে। সওজ এর রাস্তার কাজ সংস্কারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা অতি দ্রুত গতিতে তাদের সংস্কারের কাজ করছিল। সওজের রাস্তা সংস্কারের যে নিয়ম নীতি আছে তার তোয়াক্কা না করে নিজেদের মতো করে কাদাযুক্ত গর্তগুলো পরিষ্কার না করেই সেখানে প্রথমে পিচ তার উপর ময়লাযুক্ত পাথর সহ লাল বালু দিলেও পরবর্তী সময়ে রাস্তার দু’পাশে জমে থাকা কাঁদা মিশ্রিত মাটি ব্যবহার করছিল।
এ বিষয়ে কর্মরত গাড়ির ড্রাইভার এর কাছে কাজের গুণগত মান এবং অনিয়মের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা বালু ব্যবহার করছি কোন কাঁদা যুক্ত মাটি ব্যবহার করছি না।
এরপর স্থানীয়দের চাপের মুখে কিছু প্রমাণাদিসহ তাকে সরেজমিনে ঘুরে দেখালে তিনি তা স্বীকার করেন এবং উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সওজ ময়মনসিংহ আব্দুল মান্নান এর সাথে কথা বলতে বলেন।
উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সওজ ময়মনসিংহের আব্দুল মান্নান এর সাথে কথা হলে তিনি অত্যন্ত রাগাম্বিত কন্ঠে জানান আমরা কোন মাটি ব্যবহার করছি না, বালি ব্যবহার করছি। আমাদের কাছে কাদা মিশ্রিত মাটি ব্যবহারের যথেষ্ট প্রমাণাদি রয়েছে বলা হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আপনার সমস্যা টা কি? দায়িত্ব পালন করার আপনি কে? আপনি পারলে নিউজ করে দেন, যা করার করেন। কথাগুলো তিনি অত্যন্ত ক্ষিপ্ত কণ্ঠে বলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী সওজ ময়মনসিংহ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ তাই এক্ষেত্রে আমি অবগত নই। তিনি উক্ত কাজের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সওজ ময়মনসিংহ মীর আব্দুল মান্নান এর সাথে কথা বলতে বলেন।
রাস্তা সংস্কারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যে চিত্র দেখা গেল, সওজ এর দায়িত্বপ্রাপ্তরা রাস্তার সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই বৃষ্টি হয় এরপর সংস্কার হওয়া কাজের উপরের অংশের বিটুমিন উঠে যায় এবং কাদা মিশ্রিত মাটি ভেসে ওঠে যেখানে আবারো পুনরায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়।
ভিন্নবার্তা/এমএসআই