গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত সাধারণ একটি জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানা। ঘ্রাণ না থাকলেও ময়ূরের পালকের মতো দেখতে কচুরিপানার ফুল নান্দনিক ও শিল্পোশোভন এবং এই ফুলের সৌন্দর্যে শিশু -বুড়ো সকলকে মুগ্ধ করে তুলছে । বর্তমানে বিলে পানি না থাকলেও ২/৩ ফুট গর্তে জমানো পানিতে জন্মানো জলজ উদ্ভিদটির সাদা ফুল।
গ্রামীণ জনপদে কচুরিপানার ফুল যেন প্রকৃতির অপরূপ নিয়ামত।এ ফুলে সুশোভিত হয়ে উঠেছে খাল-বিল, হাওড়-বাওড়, ছোট পুকুর জলাশয় কিংবা দীঘি।আবার এই ফুলে অনেকে আকৃষ্ট হয়ে প্রকৃতির এই অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করছেন ।
বর্তমানে খাল-বিল, ঝিলের পানি অনেকটা কম। কিন্ত বিলের যেটুকু পানি জমে আছে তাতে দেখা যাচ্ছে সবুজ পাতার বেষ্টনির মাঝে ফুটে আছে সাদার উপর হাল্কা বেগুনি রঙের কচুরিপানার ফুল। পড়ন্ত বিকেলে বিলের ধারের পাশের রাস্তা দিয়ে চলতে গেলে এমনই ফুলের দৃশ্য হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে। এতে আকৃষ্ট হচ্ছে ফুল প্রেমি মানুষ গুলো।
গ্রাম বাংলার খাল-বিল, ছোট নদীসহ নোংরা জলে ফুটে স্বর্গীয় এই কচুরিপানার ফুল। নীলচে শিরা-উপশিরায় বিন্যাস্ত হালকা বেগুনি রঙের মায়াবী এই ফুল হারানো শৈশবকেও খুব কাছে টানে।সকলের কাছে খুব পরিচিতি এক উদ্ভিদের নাম কচুরিপানা। এ অবহেলিত উদ্ভিদের এত নয়নাভিরাম, মনোমুগ্ধকর, চিত্তাকর্ষক ফুল যা প্রকৃতি প্রেমীদের বিমুগ্ধ না করে পারে না। কচুরি ফুলের মুগ্ধতায় আমাদের সবার মধ্যে প্রকৃতির প্রেম চির জাগ্রত হউক।
ভিন্নবার্তা/এমএসআই