দেশের গণ্ডি পেরিয়ে হামজা চৌধুরীর উন্মাদনা বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। দারুণ এক পারফর্ম্যান্স দিয়ে ভারতকে হারানোর রাস্তা তৈরি করেই দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। শেষমেশ যদিও গোলশূন্য ড্র করে শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম ছেড়েছে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার দল।
তবে এমন পারফর্ম্যান্সে জয় কেড়ে নিতে না পারলেও ভারতের সমর্থকদের মন কেড়ে নিয়েছেন হামজা। তিনি যখন স্টেডিয়াম ছাড়ার জন্য গাড়িতে উঠছেন, তখন তাকে এক নজর দেখতে ভারতীয়রা ভিড় করে দাঁড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের টিম বাসকে ঘিরে।
হামজা উন্মাদনা অবশ্য ম্যাচের শুরু থেকেই দেখা গেছে শিলংয়ে। তিনি তখনও মাঠে নামেননি। স্টেডিয়ামে কেবল লাইন আপ জানানো হচ্ছে। যখনই তার নামটা শোনা গেল, বিপুল হর্ষধ্বনিতে কেঁপে উঠেছিল গোটা গ্যালারি।
এই ম্যাচের জন্য বাংলাদেশি দর্শক গিয়েছেন গুটিকয়েক। স্রেফ হামজার পরিবারই গিয়েছিলেন দেশ থেকে। তাই এই হর্ষধ্বনি যে স্বাগতিক দর্শকদেরই, তা বুঝে নিতে খুব একটা অসুবিধা হয় না।
এরপর হামজা ম্যাচেও আলো ছড়িয়েছেন। মাঝমাঠের দখলটা ভারতকে নিতেই দেননি। একের পর এক ভারতীয় আক্রমণ ভেস্তে দিয়েছেন রক্ষণের ঠিক ওপরে দাঁড়িয়ে। এরপর একের পর এক থ্রু বলে আক্রমণের শুরুটাও করে দিয়েছিলেন তিনি।
ম্যাচ নিয়ে হামজা বলেন, ‘প্রথমার্ধে খুব ভালো খেলেছিলাম আমরা। কলিগদের নিয়ে আমি খুব গর্বিত। তারা অনেক কঠোর পরিশ্রম করছে। আমরা সবাই ভালো টিম স্পিরিট নিয়ে খেলছি।’
এই ম্যাচে বাংলাদেশ নিদেনপক্ষে ৫টা গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে। তবে এটাকেও ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখেছেন হামজা, ‘জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। তবে ফুটবলে মিস হতেই পারে, ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগেও তো মিস হয়।’ এরপর তিনি ঈদ মোবারকও জানিয়েছেন দেশের সবাইকে।
তবে জয় না পাওয়ার হতাশাটা হামজার নিশ্চয়ই কিছুটা কমে গেছে একটু পরেই। তাকে দেখতে প্রতিপক্ষ সমর্থকরা দাঁড়িয়ে ছিলেন অপেক্ষায়। উপমহাদেশের ফুটবলে এমন দৃশ্য কবে দেখা গেছে আর?