করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের ২০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ সুবিধা ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ঋণ কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের সুবিধার আওতাভুক্ত হবে।
তবে খেলাপিরা এ সুবিধা পাবে না। কোনো ঋণ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের ঋণ মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত হওয়ার পর ইতোপূর্বে তিনবারের অধিক পুনঃতফসিল করেছে তারাও এ প্যাকেজের আওতায় ঋণ সুবিধা পাবেন না।
ঋণ গ্রহণের জন্য আবেদনকারী যাদের নামে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কোনো ঋণ নেই, তারা সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক বিবরণী থাকা সাপেক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হবে।
কেবলমাত্র করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে চলতি মূলধনের চাহিদার বিপরীতে এ প্যাকেজের আওতায় প্রদত্ত ঋণ/বিনিয়োগ ব্যবহার করা যাবে। তবে এ প্যাকেজের ঋণ দিয়ে বিদ্যমান কোনো ঋণ সমন্বয় বা পরিশোধ করা যাবে না। এছাড়া বিএমআরইসহ ব্যবসা সম্প্রসারণ বা নতুন কোনো ব্যবসা চালুর জন্য এ ঋণ ব্যবহার করা যাবে না।
ঋণ সীমা ও মেয়াদ
ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের চলতি বছরের জানুয়ারি হতে পরবর্তী মাসসমূহের উৎপাদনের-বিক্রয়ের নিম্নমুখিতা যথাযথভাবে নিরূপণের জন্য বিগত বছরের (এক/একাধিক) উৎপাদন/বিক্রি/টার্নওভারের ভিত্তিতে চলতি মূলধনের পরিমাণ হিসাব করতে হবে।
উৎপাদন ও সেবা শিল্পের সাথে জড়িত উদ্যোক্তাগণ, যারা ইতোপূর্বে ব্যাংক হতে চলতি মূলধন ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহণ করেছেন সে সব ঋণ গ্রহীতারা বিদ্যমান চলতি মূলধন ঋণ স্থিতির ৩০% বা সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরসহ বিগত তিন বছরের আর্থিক বিবরণীতে উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী গড় পরিচালন ব্যয়ের ৫০%- এ দু’টির মধ্যে যেটি কম সেই পরিমাণ চলতি মূলধন সুবিধা পাবেন।
গড় বার্ষিক টার্নওভার বিবেচনায় নিয়ে ২৫% পর্যন্ত চলতি মলূধন সুবিধা পেতে পারেন, তবে তা ১ কোটি টাকার অধিক হতে পারবে না।
ঋণ সুদ/মনুাফার হার
এ ঋণ সুদহার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। প্রদত্ত ঋণ/বিনিয়োগের সুদ/মুনাফার সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ ঋণগ্রহীতা পরিশোধ করবেন এবং অবশিষ্ট পাঁচ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে পরিশোধ করবে। নির্ধারিত ফি ছাড়া ঋণ বিপরীতে অতিরিক্ত ফি আরোপ করা যাবে না। ঋণ এর উপর অদৃশ্য ফি আরোপ করা হলে সে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। সবক্ষেত্রে গ্রাহক পর্যায়ে ক্রমহ্রাসমান স্থিতির ভিত্তিতে সুদ হিসাবায়ন করতে হবে।
ঋণ সুবিধা বিষয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকে কোনো ভুল তথ্য সরবরাহ করলে প্যাকেজের আওতায় কোন সুদ ভর্তুকি বাতিল ও বিতরণ করা ঋণের উপর ২ শতাংশ হারে জরিমানা করা হবে।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তারা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারী উদ্যোক্তা করোনাভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এ বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তফসিলি ব্যাংক ঋণ দিবে । এক্ষেত্রে, অপেক্ষাকৃত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান অগ্রাধিকার পাবে।
এ প্যাকেজের আওতায় প্রদত্ত ঋণ/বিনিয়োগের ব্যবহার যথাযথভাবে হচ্ছে কিনা, তা তদারক করার জন্য প্রতিটি ব্যাংক তাদের প্রধান কার্যালয়ের আওতায় একটি ‘বিশেষ মনিটরিং সেল’ গঠন করে বিষয়টি নিয়মিত তদারকি করবে।
ঋণ/বিনিয়োগ আদায় প্রক্রিয়া
ঋণের মেয়াদের মধ্যে (এক বছর) মঞ্জুরিকৃত ঋণসীমার আওতায় টাকা জমা ও উত্তোলন করা যাবে।
ঋণ এর বিপরীতে ম
ঢাকা
যেসব শর্ত মানলে ঋণ সুবিধা পাওয়া যাবে
করোনাভাইরাস, বাংলাদেশ ব্যাংক, শিল্প
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের ২০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ সুবিধা ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ঋণ কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের সুবিধার আওতাভুক্ত হবে।
তবে খেলাপিরা এ সুবিধা পাবে না। কোনো ঋণ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের ঋণ মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত হওয়ার পর ইতোপূর্বে তিনবারের অধিক পুনঃতফসিল করেছে তারাও এ প্যাকেজের আওতায় ঋণ সুবিধা পাবেন না।
ঋণ গ্রহণের জন্য আবেদনকারী যাদের নামে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কোনো ঋণ নেই, তারা সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক বিবরণী থাকা সাপেক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হবে।
কেবলমাত্র করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে চলতি মূলধনের চাহিদার বিপরীতে এ প্যাকেজের আওতায় প্রদত্ত ঋণ/বিনিয়োগ ব্যবহার করা যাবে। তবে এ প্যাকেজের ঋণ দিয়ে বিদ্যমান কোনো ঋণ সমন্বয় বা পরিশোধ করা যাবে না। এছাড়া বিএমআরইসহ ব্যবসা সম্প্রসারণ বা নতুন কোনো ব্যবসা চালুর জন্য এ ঋণ ব্যবহার করা যাবে না।
ঋণ সীমা ও মেয়াদ
ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের চলতি বছরের জানুয়ারি হতে পরবর্তী মাসসমূহের উৎপাদনের-বিক্রয়ের নিম্নমুখিতা যথাযথভাবে নিরূপণের জন্য বিগত বছরের (এক/একাধিক) উৎপাদন/বিক্রি/টার্নওভারের ভিত্তিতে চলতি মূলধনের পরিমাণ হিসাব করতে হবে।
উৎপাদন ও সেবা শিল্পের সাথে জড়িত উদ্যোক্তাগণ, যারা ইতোপূর্বে ব্যাংক হতে চলতি মূলধন ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহণ করেছেন সে সব ঋণ গ্রহীতারা বিদ্যমান চলতি মূলধন ঋণ স্থিতির ৩০% বা সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরসহ বিগত তিন বছরের আর্থিক বিবরণীতে উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী গড় পরিচালন ব্যয়ের ৫০%- এ দু’টির মধ্যে যেটি কম সেই পরিমাণ চলতি মূলধন সুবিধা পাবেন।
গড় বার্ষিক টার্নওভার বিবেচনায় নিয়ে ২৫% পর্যন্ত চলতি মলূধন সুবিধা পেতে পারেন, তবে তা ১ কোটি টাকার অধিক হতে পারবে না।
ঋণ সুদ/মনুাফার হার
এ ঋণ সুদহার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। প্রদত্ত ঋণ/বিনিয়োগের সুদ/মুনাফার সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ ঋণগ্রহীতা পরিশোধ করবেন এবং অবশিষ্ট পাঁচ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে পরিশোধ করবে। নির্ধারিত ফি ছাড়া ঋণ বিপরীতে অতিরিক্ত ফি আরোপ করা যাবে না। ঋণ এর উপর অদৃশ্য ফি আরোপ করা হলে সে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। সবক্ষেত্রে গ্রাহক পর্যায়ে ক্রমহ্রাসমান স্থিতির ভিত্তিতে সুদ হিসাবায়ন করতে হবে।
ঋণ সুবিধা বিষয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকে কোনো ভুল তথ্য সরবরাহ করলে প্যাকেজের আওতায় কোন সুদ ভর্তুকি বাতিল ও বিতরণ করা ঋণের উপর ২ শতাংশ হারে জরিমানা করা হবে।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তারা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারী উদ্যোক্তা করোনাভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এ বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তফসিলি ব্যাংক ঋণ দিবে । এক্ষেত্রে, অপেক্ষাকৃত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান অগ্রাধিকার পাবে।
এ প্যাকেজের আওতায় প্রদত্ত ঋণ/বিনিয়োগের ব্যবহার যথাযথভাবে হচ্ছে কিনা, তা তদারক করার জন্য প্রতিটি ব্যাংক তাদের প্রধান কার্যালয়ের আওতায় একটি ‘বিশেষ মনিটরিং সেল’ গঠন করে বিষয়টি নিয়মিত তদারকি করবে।
ঋণ/বিনিয়োগ আদায় প্রক্রিয়া
ঋণের মেয়াদের মধ্যে (এক বছর) মঞ্জুরিকৃত ঋণসীমার আওতায় টাকা জমা ও উত্তোলন করা যাবে।
ঋণ এর বিপরীতে আরোপিত সুদসহ ঋণ স্থিতি কোনোভাবেই মঞ্জুরিকৃত ঋণসীমা অতিক্রম করতে পারবে না। তবে কোনো কারণে সুদ আরোপের ফলে ঋণসীমা অতিক্রম করলে প্রতি ত্রৈমাসিক শেষে পরবর্তী ৫ (পাঁচ) কর্ম দিবসের মধ্যে ঋণগ্রহীতা কর্তৃক তা পরিশোধিত/সমন্বিত হতে হবে।
ঋণ অনাদায়ে হলে বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী শ্রেণিকরণপূর্বক যথাযথভাবে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর ১৮ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক । এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
দেশসংবাদ/বার্তা/এসআই
ভিন্নবার্তা/এমএসআই
লাইটনিউজ/এসআইআরোপিত সুদসহ ঋণ স্থিতি কোনোভাবেই মঞ্জুরিকৃত ঋণসীমা অতিক্রম করতে পারবে না। তবে কোনো কারণে সুদ আরোপের ফলে ঋণসীমা অতিক্রম করলে প্রতি ত্রৈমাসিক শেষে পরবর্তী ৫ (পাঁচ) কর্ম দিবসের মধ্যে ঋণগ্রহীতা কর্তৃক তা পরিশোধিত/সমন্বিত হতে হবে।
ঋণ অনাদায়ে হলে বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী শ্রেণিকরণপূর্বক যথাযথভাবে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর ১৮ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক । এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
দেশসংবাদ/বার্তা/এসআই
ভিন্নবার্তা/এমএসআই
লাইটনিউজ/এসআই