চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে প্রথম থেকে দৈনিক ৯০ থেকে ১২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছিল। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও দশকের ঘরে আটকা ছিল। কিন্তু চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিন লাফ দিয়েই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪ জন।
সোমবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিআইটিআইডি হাসপাতালে ২৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করে আরও ৩৯ জনের করোনা শনাক্ত হয় বলে জানান চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির।
এরমধ্যে ৩১ জন চট্টগ্রামের বাসিন্দা। যাদের মধ্যে ১৬ জন চট্টগ্রাম মহানগর এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া পটিয়ার ১১ ও সাতকানিয়ার তিনজনসহ উপজেলাগুলোতে ১৪ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি জানান, বিআইটিআইডিতে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে পটিয়া পৌরসভা এলাকার ১ জন, কাগজীপাড়া এলাকার ১ জন, নোয়াপাড়া পাহাড়তলী এলাকার ১ জন, কমলমুন্সীরহাট এলাকার ৯ জন ও সাতকানিয়া উপজেলার ৩ জন।
এছাড়া নগরের গ্রীনভিউ সোসাইটিতে ১ জন, কর্নেলহাট এলাকার ১ জন, বাঁচা মিয়া রোডে ১ জন, লালখান বাজার পশ্চিম বাঘঘোনা এলাকার ১ জন, নয়াবাজার মৌসুমি আবাসিক এলাকায় ১ জন, আকবরশাহ থানা এলাকায় ১ জন, চকবাজার এলাকায় ১ জন, পশ্চিম নাসিরাবাদে ১ জন, পাঁচলাইশ থানা এলাকায় ১ জন, দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে ১ জন, নন্দন কাননে ১ জন, আগ্রাবাদ ছোটপুল এলাকায় ১ জন, আগ্রাবাদ এলাকায় ১ জন এবং চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল ও চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে।
সোমবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে পটিয়া উপজেলায় ১ জন, সীতাকুন্ড উপজেলার ফকিরহাট এলাকার ১ জন। বাকি ১৩ জন মহানগর এলাকার।
ভিন্নবার্তা/এমএসআই