হোসেন হলেন ন্যায়ের প্রতীক মহান শ্রেষ্ঠ বীর,
জুলুমকারীর কাছে নত করেননি তাই শির।
ইয়াজিদের আনুগত্য মেনে নাহি নেন,
সত্যের পথে অটল থেকে জীবন সঁপে দেন।
মসনদলোভী ইয়াজিদের পাষাণ ছিল মন,
কারবালাতে বাধালো সে রক্তক্ষয়ী রণ।
একাত্তর জন শহিদ হলেন যুদ্ধ করে তাই,
রক্তস্নাত ফোরাতের তীর আজও দেখতে পাই।
একে একে ইমাম হোসেন কাঁধে নিলেন লাশ,
একাই পরে যুদ্ধ করলেন কেউ ছিল না পাশ।
বর্শার আঘাত বুকে নিলেন নাহি মানেন হার,
এই সুযোগে ঘাতক এসে কাটলো গলা তাঁর।
আকাশ-বাতাস কেঁদে ওঠে আসমান বিষাদ ম্লান,
পাহাড়-পর্বত টুকরো টুকরো জান্নাত হলো খান।
জয়নবেরই আহাজারি করুণ বিলাপ সুর,
ইয়া হোসেন ইয়া হোসেন আরশ ভেঙে চুর।
হোসেন দিলেন ত্যাগের শিক্ষা ঢেলে বুকের খুন,
এসো সবে অর্জন করি ন্যায়ের মহৎগুণ।
মর্সিয়া আর অশ্রু নহে ভুলে সকল শোক,
হাসি ফুটাই তাদের মুখে মজলুম যতো লোক।