হায় চাঁদ রূপোলী জ্যোৎস্নার চাঁদ
সোনালি ধানের শীষে কুয়াশার আবরণ,
মুক্তোর হাসি ঝরে আর ঝরে।
নিস্তব্ধ রাত স্মৃতি ভেসে উঠে,
চাঁদনীর মায়াবী চোখ চেয়ে থাকে
অপরাজিতার মতো।
মনে পড়ে একদিন তপ্ত রোদ্দুরে,
আকাশে উড়েছিল ঝাকেঝাকে গাঙচিল
চরএলাহী মেঘনার মোহনায়।
ডিম দিতে এসে ধরা পড়ে ইলিশের ঝাঁক জেলেদের জালে,
বেলা শেষে পালতোলা নায়েচড়ে ঘাটে
আসে এক কিশোরী,
হলুদ মেখেছে গায় তার বদনে মায়ার প্রভা।
পূর্ণিমাচাঁদ মেঘের নায়ে চড়ে
ঢেউয়ে ঢেউয়ে দোল খায় মেঘনার বুকে,
তীরে বাঁধা নৌকোর নৃত্যের তালে
ঢেউ গুলো ফুলে উঠে পূর্ণিমারাতে।
মনের নদে তুলেছিল জোয়ার কিশোরীর রূপ,
রূপোলী চাঁদের আলো ধানের ক্ষেতে এসে মিশে যায় সবুজ ঘাসে।
কুয়াশায় ধুয়ে দেয় আলতাচরণ তারপর ঘুম আসে কাতর চোখে,
আর সেই কিশোরীর পদ্মলোচন।
মায়ার ইন্দ্রজালে বাঁধে সে আমায়,
নিয়ে যায় কাল্পনার পুষ্পালয়ে
নিজেকে লুকায় সে পুষ্পের সৌরভে।
ঘুমন্ত এই আমি ছুটে যাই প্রণয় সুখে,
আনমনে কথা হয় ফুলের সনে।
সেই রাত বিস্তৃত হাজার বছর,
জীবনের যৌবন স্রোতের মতো ভেসে যায় অধরার রূপজ নদে।
এখনো সেথায় গাঙচিল ডানা মেলে উড়ে রোদেলা দুপুরে,
বলাকার ঝাঁক উড়ে যায় সন্ধ্যার আকাশে।
রূপোলী চাঁদ যেন সেথায় সোনালি
ধানের প্রেমে
কুয়াশার সঙ্গমে বিভোর,
পালতোলা নায়ে আলতাচরণ
হলুদবরণ গায় কিশোরী এক রূপজ আলিঙ্গনে
টেনে নিয়ে যায় চরএলাহীর নৌঘাটে মেঘনার মোহনায়,
বেলা-অবেলায় পূর্ণিমারাতে
হায় চাঁদ রূপোলী জ্যোৎস্নার চাঁদ।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন