স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এবিএম খোরশেদ আলম বলেছেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত পাঁচ বছর ধরে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেয়া হয় না। এ অভিযোগ রাজশাহীতে এসে আমি এই প্রথম শুনলাম। এ জন্য যদি আমি দায়ী হয়ে থাকি বা স্বাস্থ্য বিভাগের কেউ দায়ী হন, তা হলে সাংবাদিকদের কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি ও ক্ষমা চাইছি।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে দূরে রেখে রাষ্ট্রের কোনো কাজ ঠিকমতো সম্পন্ন করা যাবে না। এখন দেশের মিডিয়া শক্তিশালী একটি গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকরা আমাদেরও সহযোদ্ধা।
রোববার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে কর্মকর্তা ও চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
মহাপরিচালক আরও বলেন, করোনা টিকা পেতে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা হবে না। সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা সরকারের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন তুলে না ধরলে জনগণ কিছুই জানতে পারবে না। আমরা যতই বলি না কেন, তা জনগণ বিশ্বাস করবে না। স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে সাংবাদিকরা যখন গণমাধ্যমে তুলে ধরবেন, তখনই জনগণ সবকিছু জানতে পারবেন। আমি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে এ মুহূর্তে নির্দেশ দিচ্ছি– তিনি যেন মিডিয়াকে উপেক্ষা না করে চলেন। মিডিয়াকে সঙ্গে নিয়েই যেন কাজ করেন। সাংবাদিকদের যেন তিনি তাদের পেশাগত কাজে সব ধরনের সহযোগিতা করেন। মহাপরিচালক হিসেবে আমি নির্দেশ দিচ্ছি, সাংবাদিকরা এখন থেকে হাসপাতালের নিয়ম মেনে ভেতরে ঢুকে পেশাগত কাজ করতে পারবেন। কেউ বাধা দিলে আমি বিষয়টি দেখব।
স্বাস্থ্য মহাপরিচালক আরও বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ভালো কাজ করছে। ঢাকার অনেক হাসপাতালের চেয়ে এখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা অনেক ভালো। অন্যান্য রোগের চিকিৎসা এবং অপারেশন আগের চেয়ে কিছুটা কমলেও সংকটকালীন বিবেচনায় তাও বেশ ভালো হচ্ছে।
প্রফেসর ডা. এবিএম খোরশেদ আলম বলেন, আমি রাজশাহীর চিকিৎসকদের বলেছি– যে কোনো পরিস্থিতিতে তারা যেন করোনাক্রান্তসহ সব ধরনের রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করেন। কেউ যেন চিকিৎসা নিতে এসে ফিরে না যান সে ব্যবস্থা করতে হবে– এটিই আমার নির্দেশ।
ভিন্নবার্তা/এসআর