1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :

শীতের আগাম সবজির ফলন ভালো হলেও দাম নিয়ে হতাশ কৃষক

ভিন্নবার্তা প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২১ ২:৪১ pm

ঢাকার ধামরাইয়ে আগাম শীতকালীন সবজির ব্যাপক ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। তবে পাইকারি বাজারের দর শুনে সেই হাসি ধরে রাখতে পারছেন না তারা। খুচরা বাজারে ক্রেতারা চড়া দামে সবজি কিনলেও পাইকারি বাজারে কৃষকরা সবজি বিক্রি করছেন আগের মূল্যের চেয়ে মাত্র ৫-৭ টাকা বেশিতে। অর্থাৎ কেজি প্রতি ২০-৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। শাকের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুচরা বাজারে আগাম শীতকালীন সবজির দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে ভোক্তাদের পকেট ফাঁকা। তবে বাজারে দাম বাড়লেও কৃষকের কাছে সেই দামের মুনাফার অর্থ পৌঁছাচ্ছে না বরং লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা।

সরেজমিনে উপজেলার হাতকোড়া, বারবারিয়া, কালামপুর, দেপাশাই, জয়পুরা, কাওয়ালীপাড়া, ধামরাইসহ স্থানীয় খুচরা কাঁচাবাজারগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় বাজার ভেদে শাক-সবজির দামের পার্থক্য ২০ থেকে ৩০ টাকা। লেবু, বেগুন, পটল, শসা প্রতি কেজি ৬০-৭০ টাকা, করলা ৬০-৮০ টাকা, মূলা ও ঢেঁড়স ৫০-৭০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ৮০-১০০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০-৮০, লাউ ৪৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লালশাক ও পুঁইশাক প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে আকার বেধে ৫০-৬৫ টাকায়।

তবে ব্যবসায়ীরা জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সবজির দাম কিছুটা কমবে।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খুচরা বাজারে দাম বাড়তি থাকলেও পাইকারি বাজারে দাম তেমন বাড়েনি। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি বেগুন, পটল, শসা ৩০-৪০ টাকা, মূলা ও ঢেঁড়স ২০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ধামরাইয়ের খড়ারচর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মোখলেস ও আবুল হোসেন বলেন, আগাম শীতকালীন বিভিন্ন সবজি উঠে গেছে। খুচরা বাজারে দামও বেড়েছে। কিন্তু আমরা দাম পাচ্ছি না। চাষের খরচের সঙ্গে মিলিয়ে যে দাম পাচ্ছি তাতে মনে হয় তেমন একটা লাভ হবে না।

এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, বন্যা ও বৃষ্টির কারণে দুই থেকে তিনবার ক্ষেতের সবজি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। বাজারের এই অতিরিক্ত দাম আশা করি কয়েকদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।

পাইকারি দাম কম থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো কৃষক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের পাশে আমরা দাঁড়াবো। ঢাকাতে আমাদের যে সব সরকারি কৃষি বিপণন কেন্দ্র আছে কৃষকদের সবজি কিনে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো। এজন্য কৃষকদের উপজেলা অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন



আরো




মাসিক আর্কাইভ