1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :
চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে নগরবাসী

রাজধানীতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ই-বর্জ্য,নেই নজরদারি

শফিকুল ইসলাম
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০২২ ৭:৩৮ pm

সারাদেশে বাড়ছে ইলেট্রিক্যাল পণ্যর বাজার। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় এর চাহিদা বেশি রয়েছে। ফলে যত্রতত্র গড়ে তোলা হচ্ছে এসব পণ্যের বাজার। এসব বাজার থেকে মানুষ অনেকটা কম দামে ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনে ব্যবহারের এক পর্যায়ে তা নষ্ট হওয়ার পর ফেলে দেয়া হচ্ছে যত্রতত্র। ফলে সেখান থেকেই সৃষ্টি হচ্ছে ই-বর্জ্য। এরমধ্যে রয়েছে, মনিটর, টস লাইট, কেটলি, ইস্ত্রি, প্রিন্টার, মশা মারার বেট, সেলফোন, কম্পিউটার, হেডফোন, টিভি, ফ্রিজসহ নানা ইলেকট্রনিক্স পণ্যে। আর এসব ই-বর্জ্য অপসারণ করে তা পুড়িয়ে ফেলার কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না। ফলে গত দুই বছরে ই-বর্জ্যরে পরিমাণ বেড়েছে কয়েক গুণ। এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে ই-বর্জ্য সংক্রান্ত একটি নীতিমালা করার কথা থাকলেও এখনো তা করা হয়নি। এসব ই-বর্জ্যর বিষয়ে তেমন কোন ধারণা না থাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে নগরবাসী।

পরিবেশবিষয়ক বেসরকারী সংস্থা এনভায়রনমেন্ট এ্যান্ড সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (এসডো) করা ম্যাগনিটিউড অব দ্য ফ্লো অব ই-ওয়েস্ট ইন বাংলাদেশ শীর্ষক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮-২০ সালে দেশে ই-বর্জ্যরে পরিমাণ ছিল প্রায় ৭২ লাখ টন। গত ২ বছরের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় দেড় কোটি টনে। এভাবে ই-বর্জ্যরে পরিমান বাড়লেও সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন নজরদারি নেই। এদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সংশি¬ষ্ট বিভাগ জানায়, ই-বর্জ্য অপসারণ করার দায়িত্ব পরিবেশ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য বিভাগের। তারপরেও আমরা দৈনন্দিন বর্জ্যরে সাথে যেসব ই-বর্জ্য পাচ্ছি তা অপসারণ করছি। তবে এসব ই-বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলার কথা থাকলে নানা সংকটের কারণে কর্তৃপক্ষ তা ঠিকমত করতে তা পারছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ই-পণ্য কেনার আগে বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানসমূহ পণ্যটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর তা কোথায় ও কিভাবে রিসাইকেল বা ডিসপোজাল করতে হবে সে সম্পর্কে গ্রাহদের কোন প্রকার ধারণা দিচ্ছে না। বাজার স¤প্রসারণে মনোযোগী হলেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কোন উদ্যোগ নেই উৎপাদন ও বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলোর। ফলে ক্রেতা পণ্যটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা যত্রতত্র ফেলে দিচ্ছে। এর ফলে প্রতিনিয়তই বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। প্রতিনিয়ত এ বর্জ্য আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পেলেও সরকার বা পণ্য ব্যবহারকারী এ নিয়ে কারও যেন কোন মাথাব্যথা নেই। এসব বর্জ্য থেকে সীসা, পারদ, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়ামসহ বিভিন্ন ভারি ধাতু পরিবেশের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে, যা খাদ্যচক্রের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষ এসব ভারি ধাতুর সংস্পর্শে চর্মরোগ, শ্বাসকষ্ট, স্নায়ুরোগ এমনকি ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা থাকে। প্রকৃতপক্ষে ই-বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি বা ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানে না অধিকাংশ মানুষ।

এদিকে অভিযোগ রয়েছে, নষ্ট হওয়ার পর এসব ইলেক্টনিক্স পণ্য ফেরত নেয়ার ব্যবস্থাও রাখছে না কোন কোম্পানি। ফলে অনেকে উপায় না পেয়ে এসব বর্জ্য যেখানে সেখানে ফেলায় দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ। ওই গবেষণায় এমন কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে ওই গবেষণায় ৮৩ শতাংশ বাড়ির লোকজন জানায়, ই-বর্জ্যে তাদের কোন সমস্যা হচ্ছে না। এছাড়া ৫ শতাংশ মাথাব্যথা ও ৫ শতাংশ চামড়ার সমস্যার কথা জানিয়েছে। ৪ শতাংশ জানিয়েছে চোখের সমস্যার কথা। আর ৩ শতাংশের কোন ধারণা নেই ই-বর্জ্যরে ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে। গবেষণার জরিপে অংশ নেয়া ৮১ শতাংশ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তারা ই-বর্জ্যে কোন সমস্যার সম্মুখীন হয় না। ৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে পরিবেশ ও অন্যান্য সমস্যার কথা। আর কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা, তা জানা নেই ১২ শতাংশের। পরিবেশবিদ স্থাপতি ইকবার হাবিব বলেন, বর্তমানে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের চাহিদা বেশি থাকায় ই-বর্জ্যরে পরিমান বেড়ে গেছে। কিন্তু অনেকে না জেনে এসব বর্জ্য বাসায় দিনের পর দিন ফেলে রাখছে। এতে পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যহানিও ঘটছে। এ বিষয়ে একটি নীতিমালা করার কথা থাকলেও তার কোন বাস্তবায়ন নেই। ফলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কোন ধারণা না থাকায় যে যার ইচ্ছেমতো ই-বর্জ্য ফেলে রাখছে। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সচেতনতা সৃষ্টিসহ কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

ভিন্নবার্তা/এমএসআই



আরো




মাসিক আর্কাইভ