1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :

রংপুরের উপজেলাগুলোতে ধান-চাউল ক্রয় শুরু

ভিন্নবার্তা প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১ মার্চ, ২০২১ ৭:৪০ pm

কৃষির শষ্য ভান্ডার বলে খ্যাত রংপুর বিভাগ।চলতি আমন মৌসুমে খাদ্য বিভাগের ধান-চাউল সংগ্রহ অভিযান পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। গত ২৮ ফেব্রæয়ারি সংগ্রহ অভিযান শেষ হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রার ১০ ভাগও পূরণ হয়নি। অন্যদিকে কৃষকদের থেকে সরাসরি ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা এক ভাগও পূরণ হয়নি। ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা যেখানে ছিল ১০ হাজার ৩৮২ মেট্রিক টন, সেখানে কেনা হয়েছে মাত্র দুই হাজার মেট্রিক টন। চাউল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৬৩৮ মেট্রিক টন। কেনা হয়েছে মাত্র এক হাজার ৩৯১ মেট্রিক টন।
রংপুর জেলা খাদ্য কর্মকর্তার দফতর সূত্রে জানা গেছে, এবার আমন মৌসুমে রংপুর জেলা ও ৮ উপজেলার জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় খাদ্য বিভাগ। কিন্তু খাদ্য বিভাগের নিবন্ধিত অটোরাইস মিলসহ হাসকিং তিনশ’র বেশি থাকলে চুক্তি করে মাত্র ৬৩ জন চালকল মালিক। এরপরেও চুক্তিবদ্ধ চাউল কল মালিকরা চুক্তি অনুযায়ী চাল দেননি।
গত বোরো মৌসুমেও রংপুর জেলায় ধান-চাউল ক্রয় অভিযান ব্যর্থ হয়। সেবারও খাদ্য বিভাগ ঘোষণা দিয়েছিল যে সব চুক্তিবদ্ধ মিলার চুক্তি করেও চাউল দেয়নি। সে সময় বলা হয়েছিল যারা ধান-চাউল দেয়নি তাদের আর্নেস্ট মানি বাজেয়াপ্তসহ চুক্তি বাতিল করা হবে। পাশাপাশি নতুন করে আর চুক্তি করা হবে না বলেও জানানো হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত খাদ্য বিভাগ নিজেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।একইভাবে খাদ্য বিভাগের নির্ধারণ করা দামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা এবার ধান বিক্রয় করতে রাজি হয়নি। তার ওপর খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের হয়রানির কারণে কৃষকরা ধান বিক্রি করতে যায়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেক কৃষক।
রংপুর জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রংপুর জেলায় এবার উপজেলা ওয়ারি ধান ও চাউল কেনার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রংপুর সদর উপজেলায় ধান কেনার কথা ছিল এক হাজার ৭১ মেট্রিক টন। বিপরীতে এক কেজি ধান কিনতে পারেনি খাদ্য বিভাগ। অন্যদিকে চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার ৯৬৬ মেট্রিক টন। বিপরীতে কেনা হয়েছে মাত্র ২৬৭ মেট্রিকটন চাল। বদরগঞ্জ উপজেলায় ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৬ মেট্রিক টন কেনা হয়নি এক কেজিও। চাউল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৮৪ মেট্রিক টন, কেনা হয়েছে মাত্র ২০ মেট্রিক টন।মিঠাপুকুর উপজেলায় ধান কেনার কথা ছিল চার হাজার ১৯৮ মেট্রিক টন, কেনা হয়নি এক কেজিও।চাউল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন হাজার ৮৫৮ মেট্রিক টন, বিপরীতে কেনা হয়েছে মাত্র ৪১৯ মেট্রিক টন। পীরগঞ্জ উপজেলায় ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ১৯৪ মেট্রিক টন, কেনা হয়েছে মাত্র দুই হাজার টন, চাউল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন হাজার ৮০২ মেট্রিক টন, কেনা হয়েছে মাত্র ৬৭৯ মেট্রিক টন। তারাগঞ্জ উপজেলায় ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০২ মেট্রিক টন, কেনা হয়নি এক কেজিও। চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার ৬৭৪ মেট্রিক টন, কেনা হয়নি এক কেজিও।গঙ্গাচড়া উপজেলায় ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৫০ মেট্রিক টন, কেনা হয়নি এক কেজিও চাউল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৬৭৬ মেট্রিক টন, তবে চালও কেনা যায়নি। কাউনিয়া উপজেলায় ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৯৪ মেট্রিক টন, এক কেজি ধানও কেনা যায়নি। আর চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ২৯৪ মেট্রিক টন, সেখানে চাল কেনা হয়েছে মাত্র চার হাজার ৬০০ মেট্রিক টন।পীরগাছা উপজেলায় ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৬৭ মেট্রিক টন, কেনা হয়নি এক কেজিও চাউল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ২৮৪ মেট্রিক টন, তবে চালও কেনা সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খাদ্য কর্মকর্তা জানান তারাগঞ্জ, গঙ্গাচড়া ও পীরগাছা খাদ্য বিভাগের গুদাম ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তারা এক কেজিও ধান ও চাল কিনতে পারেননি। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
ধান ও চাউল ক্রয়ে সার্বিক বিষয়ে জানতে কথা হয় রংপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল কাদেরের সঙ্গে। তিনি ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান সফল করা যায়নি বলে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ২৮ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত সময় সীমা রয়েছে। এটা বৃদ্ধি করার কোনও সরকারী আদেশ আসেনি। তিনি আরো বলেন, মাত্র ৬৩ জন মিলারের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল। তবে তারাও চাল পুরোপুরি দিতে পারেনি। বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকরাও ধান বিক্রি করেনি।
খাদ্য বিভাগের অপর একটি সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে চাল কেনা হয়েছিল। সে সময় তারাগঞ্জের একটি অটোরাইস মিলসহ জেলার অনেক মিল বন্ধ থাকলেও ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে চাল কেনা দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল। পুরো বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি খোদ খাদ্য বিভাগের কর্মীদের।

ভিন্নবার্তা ডটকম/এন

 



আরো




মাসিক আর্কাইভ