ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল শূন্য ড্র নিয়ে বিরতিতে গিয়েছিল উভয় দল। প্রথমার্ধে দুই দলই একাধিক সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন।
কিন্তু সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেই ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। একের পর এক আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ম্যাচে লিড নেওয়ার চেষ্টা করে সিশেলসের ফুটবলাররা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক সুযোগ পেলেও ব্যর্থ হয় লাল-সবুজ শিবির।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের ৬২তম মিনিটে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ শিবির। ডি-বক্সের মধ্যে ডিফেন্ডার সাদ উড়ন্ত বল মাঠের বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করে পা তুলেন, কিন্তু বাঁশি দিয়ে পেনাল্টির সংকেত দেন ভুটানি রেফারি। এরপর লাল-সবুজের গোলরক্ষক আনিসুর রহমানকে পরাস্ত করে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন সিশেলসের মিশেল।
ম্যাচের শেষ দিকে আর কোনো গোল না হলে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোল ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সফরকারীরা।
আর এর মধ্য দিয়েই ২০১৯ সালের পর টানা দুই ম্যাচ জেতার সুযোগ হাতছাড়া করলো বাংলাদেশ। যদিও সিরিজের প্রথম ম্যাচে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ১৯৯ দল সিশেলসকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল জামালবাহিনী। ফলে ড্র করলেই সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যেতো স্বাগতিকদের। তবে তা আর হলো না।
যদিও সিরিজের এই ম্যাচে শুরু থেকেই বেশ চাপে ছিল সিশেলস। বাংলাদেশের ওপর বেশ কয়েকবার চড়াও হয়েছিল আফ্রিকা মহাদেশের দলটি। ম্যাচের প্রথমার্ধে একাধিক কাউন্টার অ্যাটাকে গোলের চেষ্টা করেছিল সিশেলস। কিন্তু বাংলাদেশের রক্ষণভাগের ফুটবলার তারিক কাজীর নৈপুণ্যে রক্ষা পায় লাল-সবুজ শিবির।
এরও আগে, সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে শুরুর একাদশে জায়গা হারান জামাল ভূঁইয়া। তার পরিবর্তে দলে ফিরেন মিডফিল্ডার রবিউল হাসান। স্ট্রাইকার আমিনুর রহমানের পরিবর্তে একাদশে ফেরেন সুমন রেজা। টানা দুই জয়ের লক্ষ্যে এই ম্যাচে জামালের পরিবর্তে লাল-সবুজের জার্সিধারীদের নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব পান ডিফেন্ডার তপু বর্মণ।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন