1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :

বিয়ে পড়ানোর সুন্নত পদ্ধতি

ভিন্নবার্তা প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২২ ২:৫৭ pm

স্বচ্ছ-সুন্দর ও পঙ্কিলতাহীন জীবন-যাপনে বিয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। বিয়ে সুস্থ সমাজ নির্মাণের অন্যতম ভিত্তি। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এই বিধান পালনে নবীজির সুন্নত অনুসরণ করা জরুরি। এতে বরকত ও জীবন সুখের হয়। সুন্নত আদায়ের সওয়াব হয়। অন্যথায় বর-কনে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে রবকত শূন্য থেকে যেতে হয়।

বিয়ের জন্য কোনও পাত্রী পছন্দ হলে, শরিয়তসম্মত ও সুন্নত পন্থায় অগ্রসর হতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমেই দ্বীনদারিকে প্রাধান্য দিতে হবে। ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহ.) বলেছেন, ‘কোনো পুরুষ যদি কোনও নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, তাহলে সর্বপ্রথম তার সৌন্দর্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে। যদি এ ব্যাপারে তার প্রশংসা করা হয়, তাহলে তার দ্বীন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে। দ্বীনের ক্ষেত্রে যদি প্রশংসিত হয়, তাহলে বিয়ে করবে; অন্যথায় দ্বীনের কারণে প্রত্যাখ্যান করবে।

কিন্তু এমনটি করা ঠিক নয় যে— প্রথমেই দ্বীন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে, আর এ ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় হলে সৌন্দর্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে; এরপর সৌন্দর্যের ব্যাপারে প্রশংসনীয় না হলে— ফিরিয়ে দেবে। তাহলে এ প্রত্যাখ্যান হবে সৌন্দর্যের কারণে; দ্বীনের কারণে নয়।’ -(শরহু মুনতাহাল ইরাদাত, লিল-ইমাম বুতি : ২/৬২১)

আলেমদের মতে, ইসলামী বিবাহ মসজিদে ও জুমার দিন হওয়া উত্তম। এতে ঘোষণা ও জনসমাগম বেশি হয়। তবে অন্য দিন ও অন্য স্থানেও বিবাহ পড়ানো যায়।

বিবাহ পড়ানোর সুন্নাহসম্মত পদ্ধতি হলো, প্রথমে কনের কাছ থেকে ইজন বা অনুমতি নিতে হবে। এসময় কমপক্ষে দুজন সাক্ষী উপস্থিত থাকতে হবে। তখন বর উচ্চ স্বরে ‘কবুল’ অথবা ‘আমি গ্রহণ করলাম’ বা সম্মতিসূচক ‘আলহামদু লিল্লাহ’ বলবে। এরূপ তিনবার বলা উত্তম। (বুখারি, হাদিস : ৯৫)

বিবাহের ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রী বা বর-কনেই মুখ্য, যারা সারা জীবন একসঙ্গে ঘর-সংসার করবে। তাই বিবাহের আগে তাদের সম্মতি থাকতে হবে। কোনো অবস্থায়ই কোনো ছেলে-মেয়ের অসম্মতিতে তাদের বিবাহ করতে বাধ্য করা উচিত নয়। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমাদের জন্য বৈধ নয় যে তোমরা বলপূর্বক নারীদের উত্তরাধিকারী হবে। ’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১৯)

এরপর অভিভাবক (যদি বিবাহ পড়াতে সক্ষম হন) বা যিনি বিবাহ পড়াবেন তিনি বিবাহের খুতবা পাঠ করবেন। এরপর মেয়ের অভিভাবক বরের সামনে মেয়ের পরিচয় ও মোহরের পরিমাণ উল্লেখ করবেন। তারপর তিনি বিবাহের প্রস্তাব পেশ করবেন। অথবা অভিভাবকের অনুমতি নিয়ে যিনি বিবাহ পড়াবেন তিনি হবু বরের কাছে বিবাহের প্রস্তাব তুলে ধরবেন। এটাকে ইসলামের ভাষায় ‘ইজাব’ বলা হয়।

যিনি বিবাহ পড়াবেন তিনি উপস্থিত মজলিসে হবু বরের উদ্দেশে বলবেন যে অমুকের মেয়ে অমুককে এত টাকা মোহরানায় আপনার কাছে বিবাহ দিলাম, আপনি বলুন ‘কবুল’ বা ‘আমি গ্রহণ করলাম’।

বিবাহের ক্ষেত্রে অভিভাবকের অনুমতি নিতে হবে। বিশেষ করে মেয়ের ক্ষেত্রে অভিভাবকের অনুমতি একান্তভাবে আবশ্যক। কারণ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিবাহ হয় না। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘অভিভাবক ছাড়া কোনো বিবাহ নেই। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ১১০১)

প্রথমে খুতবা পাঠ করতে হবে তারপর ইজাব-কবুল (প্রস্তাব দেওয়া-নেওয়া)।

শুধু বরকেই কবুল বলাতে হবে। কনের কাছ থেকে কনের অভিভাবক শুধু অনুমতি নেবেন। বর বোবা হলে সাক্ষীদ্বয়ের উপস্থিতিতে ইশারা বা লেখার মাধ্যমেও বিবাহ সম্পন্ন হতে পারে।

এভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়ে যাবে। এরপর উপস্থিত সবাই পৃথকভাবে সুন্নতি দোয়া পাঠ করবে : ‘বা-রাকাল্লাহু লাকা, ওয়া বা-রাকা আলাইকা, ওয়া জামাআ বায়নাকুমা ফী খায়ের। ’

অর্থ : ‘আল্লাহ তোমার জন্য বরকত দিন, তোমার ওপর বরকত দিন ও তোমাদের দুজনকে কল্যাণের সঙ্গে মিলিত করুন। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ১০৯১)
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন



আরো




মাসিক আর্কাইভ