1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :
শিরোনাম :
দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’-এর মুন্নির চমক না থেকেও দলকে শুভকামনা সাইফউদ্দিনের বিয়ে বাড়ির টাকাপয়সা নিয়ে নিলয়-মাহির আড়ি! এগিয়ে আসছে রুশ সেনারা, সব সফর স্থগিত করলেন জেলেনস্কি প্রধানমন্ত্রী নারীবান্ধব শিক্ষানীতির কারণে মেয়েরা পাসের হারে এগিয়ে সাগরে সৃষ্টি হচ্ছে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ‘রোমাল’, বাংলাদেশে আঘাত হানবে যেদিন নির্বাচন ইস্যু পেছনে ফেলে সামনে তাকাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র : লু ভিডিও : ইউক্রেনে গাইলেন, গিটার বাজালেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত বিচারপতিদের সাক্ষাৎ ঋণ করে রিজার্ভ বাড়ানোর চেষ্টা করছে সরকার : নজরুল ইসলাম খান

বিদেশফেরত ৭০ শতাংশ বাংলাদেশী জীবিকা সংকটে

ভিন্নবার্তা প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০২০ ৪:৫১ pm

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে বিদেশফেরত ৭০ শতাংশ বাংলাদেশী জীবিকা সংকটে রয়েছেন বলে এক গবেষণায় জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম।

বাংলাদেশ সরকারের সাথে সমন্বয় করে মোট ১,৪৮৬ জন বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের উপর পরিচালিত জরিপের উপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে আইওএম। ২০২০ সালের মে এবং জুলাই মাসে দেশের ১২ টি উচ্চ অভিবাসন প্রবণ জেলায় এই জরিপ পরিচালনা করা হয়, যার মধ্যে সাতটি জেলায় ভারতের সাথে সীমান্ত রয়েছে।

গেল ১০ আগস্ট, আইওএম একটি ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এ গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে। বাংলাদেশ এবং আঞ্চলিক পর্যায়ের জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক ও বেসরকারি এবং স্থানীয় সংস্থা ও শিক্ষা সংস্থার অংশীদাররা এ ব্রিফিংয়ে অংশ নেন।

‘র‌্যাপিড অ্যাসেসমেন্ট অব নিডস অ্যান্ড ভালনারেবিলিটিস অব ইন্টার্নাল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল রিটার্ন মাইগ্র্যান্টস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ গবেষণা ফলাফল প্রকাশ করে আইওএম জানায়, ফেরত আসা অভিবাসীরা জীবিকা, আর্থিক সংকট (উপার্জনের অভাব এবং বর্ধিত ঋণ) এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়সহ নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। একেকজন অভিবাসী কর্মী গড়ে তার পরিবারের তিনজন সদস্যকে সহায়তা প্রদান করে থাকেন। সেক্ষেত্রে, অপরিকল্পিত ও বৃহৎ সংখ্যক জীবিকাহীন অভিবাসী কর্মীদের ফেরত আসার ফলে সারাদেশে রেমিটেন্স নির্ভর জনগোষ্ঠীর উপরও বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মোট ২৯ শতাংশ বলেছেন, যে দেশে তারা ছিলেন সেই দেশ ত্যাগ করতে বলায় তারা বাংলাদেশে ফেরত এসেছেন। ২৩ শতাংশ জানান, তারা কোভিড-১৯ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন এবং পরিবারের কাছে ফেরত আসতে চেয়েছেন। এছাড়া অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২৬ শতাংশ জানান, তাদের পরিবার তাদের ফেরত আসতে বলায় তারা ফিরে এসেছেন। বাকি ৯ শতাংশ জানান, তাদেরকে বলা হয়েছে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হবে এবং আটকে পড়ার ভয়ে তারা ফেরত এসেছেন।

সাক্ষাৎকারে মোট ৫৫ শতাংশ জানান, তাদের ওপর বর্ধিত শোধ না করা ঋণের বোঝা রয়েছে। তাদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ পরিবার ও বন্ধুর কাছে ঋণগ্রস্ত, ৪৪ শতাংশ ক্ষুদ্র ঋণপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান (এমএফআই), স্বনির্ভর দল এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ঋণগ্রস্ত। ১৫ শতাংশ পাওনাদারদের কাছে ঋণগ্রস্ত। পরিবার এবং বন্ধুদের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণকারীদের ৮৬ শতাংশ বিনা সুদে ঋণ নিয়েছেন, অন্যদিকে এমএফআই, এনজিও এবং বেসরকারি ব্যাংকসমূহ থেকে গৃহিত ৬৫ শতাংশকে ঋণের জন্য সুদ বহন করতে হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। মহাজন বা সুদে টাকা ধার দেন এমন ব্যক্তিদের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের ক্ষেত্রে ৬২ শতাংশ ঋণগ্রহীতাকে সুদ গুনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ১৫০ শতাংশ।

আইওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারির সময় সবচেয়ে বিপদাপন্ন গোষ্ঠীদের মধ্যে রয়েছেন অভিবাসী কর্মীরা। বৈশ্বিক চলাচলের ওপর আরোপিত নতুন নিষেধাজ্ঞা এবং কোভিড-১৯ মহামারি সৃষ্ট মন্দার ফলে বিরূপ প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের অভিবাসী কর্মী এবং রেমিটেন্স নির্ভর জনগোষ্ঠীর উপর।’

সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণকারীদের তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে প্রায় ৭৫ শতাংশ জানান, তারা আবার অভিবাসনে আগ্রহী। তাদের মধ্যে ৯৭ শতাংশই কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের পূর্বে যে দেশে কাজ করতেন সেই দেশেই পুনরায় অভিবাসনে ইচ্ছুক। অপরদিকে, ৬০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী আরও ভালো বেতনের চাকরি নিশ্চিতে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আগ্রহী। সূত্র : ইউএনবি

ভিন্নবার্তা/এসআর



আরো




মাসিক আর্কাইভ