1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :

বাজেট প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক দলসমূহের

ভিন্নবার্তা প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩ ৯:৩৬ pm

প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে সরকার সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। প্রস্তবিত বাজেট ‘জনবান্ধব ও উন্নয়নমুখী’ অভিহিত করে এটি সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট বলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে সরকার লুটপাটের জন্য ঋণ করে ঘি খাওয়ার বড় বাজেট দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। আর অন্যান্য দলগুলোর বক্তব্য-জনবান্ধহীন ঢিলেঢালা এ বাজেটে অনেক অস্পষ্টতা রয়েছে।

আওয়ামীলীগ: প্রস্তাাবিত বাজেটকে ‘সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট’ বলে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় গণমাধ্যমে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, ‘এটি সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট’।
সিন্ডিকেটের দৌরাতœ ভাঙতে কী ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। দ্রব্যমূল্য এখন বেশ কিছু ক্ষেত্রে কমতে শুরু করেছে। বাজেটটা এমনভাবে করা হয়েছে যে, মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। প্রস্তাবিত বাজেটকে জনবান্ধব বলার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে এই বাজেট প্রণীত হয়েছে।

বিএনপি: সরকার লুটপাটের জন্য ঋণ করে ঘি খাওয়ার বড় বাজেট দিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আওয়ামী অর্থনীতি বাস্তবায়নে স্মার্টলি লুটপাটের জন্য বাজেট দিয়েছে সরকার। ঋণ করে ঘি খাওয়ার জন্য এত বড় বাজেট দেয়া হয়েছে। এর বোঝা জনগণকে বইতে হবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বনানীর নিজ বাড়িতে তাৎক্ষণিক এক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ভাড়া, চাঁদা আর কমিশন ভিত্তিক অর্থনীতি করছে সরকার। যার দায়ভার জনগণকে দিতে হচ্ছে। আওয়ামী অর্থনীতি বাস্তবায়নে স্মার্টলি লুটপাটের জন্য বাজেট দিয়েছে সরকার। বড় আকারের বাজেট দিয়ে মূলত ঋণ নিয়ে ঘি খাচ্ছে সরকার, এর বোঝা জনগণকে বহন করতে হবে। ৫২% ঋণ বেড়েছে গত ৭বছরে, যার দায় বইতে হবে আগামী প্রজন্মকে।

বাজেটে সাধারণ মানুষের ওপর করের চাপ বাড়বে উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ৪২%মানুষ দরিদ্রতার মধ্যে আছে, নতুন করে আরো দরিদ্র হচ্ছে। ঢাকায় নতুন দরিদ্র হয়েছে ৫২ শতাংশ। আওয়ামী অর্থনীতিতে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা লাভবান হবে, জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আওয়ামী লীগের লুটপাটের এ বাজেটে অর্থনীতির সঙ্গে দেশের জনগণ চরম ভাবে বিপদে পড়বে।

জাতীয় পার্টি : প্রস্তাবিত বাজেটকে জনবান্ধবহীন উল্লেখ করে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএিম কাদের বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনমুখি বাজেট করা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবারের বাজেটে ১ লাখ কোটি টাকা বেশি ধরা হয়েছে। এই বাজেট বাস্তবসম্মত মনে করছি না। বিশ^ব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। মানুষের জীবন যাত্রা কঠিন হয়ে আছে এমন বাস্তবতায় যে রাজস্ব আদায়ের টার্গেট করা হয়েছে তা হয়তো আদায় হবে না। বাজেটে প্রাপ্তি দেখানো হয়েছে অভ্যন্তরীন ঋণ ও বিদেশী ঋণ।

তিনি বলেন, এই বাজেটে জনবান্ধব বা কল্যাণমুখী কিছু দেখছি না। নিন্মবিত্ত, নিম্ম মধ্যবিত্ত ও গরীব মানুষ যাতে বেঁচে থাকতে পারে তা এই বাজেটে নেই। এই বাজেট জনবান্ধব বলা যাচ্ছে না, এটা জনবান্ধবহীন বাজেট।

ওয়ার্কার্স পার্টি : বাজেট প্রসঙ্গে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, অর্থমন্ত্রী উন্নয়নের কথামালা দিয়ে বাস্তবতাকে অস্পষ্ট করে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় গণমাধ্যমে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

মেনন বলেন, আমার যেটা মনে হয়েছে যে, যে চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের সামনে রয়েছে; বাজারে মূল্য বৃদ্ধির ঘটনাগুলো ঘটছে, সেটা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ হবে এটা খুব একটা স্পষ্ট আকারে এসেছে বলে মনে হয়নি। ফলে চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবিলা হবে এটা বেশ দুস্কর ব্যাপার হয়ে গেল বলে মন হচ্ছে। বিশেষ করে আইএমএফের শর্তারোপের মধ্য দিয়ে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে যে শর্তগুলো রয়েছে সেটা আমার কাছে খুব একটা স্পষ্ট হয়নি।

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, এ বাজেটে এনবিআর থেকে আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা পূরণ করা কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।

বাসদ : বড় বাজেটের বড় বোঝা জনগণের উপর চাপানো হয়েছে বলে দাবি করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, বড় বাজেটের নামে ভ্যাট ট্যাক্সের বোঝা জনগণের উপর চাপানো হয়েছে, এ বাজেটে নিত্য পন্যের দাম বাড়বে, যার যাতাকলে পিষ্ঠ হবে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।

সিপিবি: এবারের বাজেটে দূর্নীতি ও বৈষম্যমুক্তির নির্দেশনা নেই বলেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এক বিবৃতিতে বলেছেন, নিম্ন প্রবৃদ্ধি, সর্বো”চ মুদ্রাস্ফীতি, সর্বনিম্ন বৈদেশিক মুদ্রার কর্তৃত্বপরায়ণতা, বৈদেশিক চাপ এর মুখে প্রদত্ত বাজেটে সাধারণ মানুষের আকাঙ্খা পূরণ হয়নি। বাজেটে দূর্নীতি ও বৈষম্য মুক্তির নির্দেশনা নেই, বরং জনগণের কাঁধে নানাভাবে করের বোঝা চাপবে-যা সাধারণ মানুষের জীবনকে আরো বিপর্যস্ত করে তুলবে।

ভিন্নবার্তা/এমএসআই



আরো




মাসিক আর্কাইভ