আবু তাহের
বন্ধু বলে প্রাণের উচ্ছাসে হাত বাড়িয়ে দিবে বন্ধু,
কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করবে মোলাকাত,
প্রাণের সখি, সখির সনে প্রাণ খুলে বলবে কথা
সাক্ষাতে দিনরাত।
প্রতিবেশির হবে অবাধ আনাগোনা প্রতিবেশির গৃহে,
ছমির কাকা দবির কাকায় বলবে ডেকে
দাবার একদান চলবে নাকি হে?
সারি বেঁধে ধার্মিক সব রবের ঘরে হবে একজোট,
বৈকালিন আড্ডায় নারীকূলের হবে পান,
এক সাথে চা কফি কিংবা আখরোট।
আবার জমবে মেলা বটতলার ছায়া সুশীতল তলে,
বাউল গাইবে একতারা হাতে ভাব সঙ্গীতের গীত,
আহা! আহা! কলোরবে মুখরিত হবে চৌদিক,
শ্রোতার কণ্ঠেও ধ্বনিত হবে গুণগুণ সঙ্গীত।
মাঝ দরিয়ায় জাল ফেলিয়া জেলেরাও গাইবে
উথাল পাথাল দড়িয়ার গান,
গঞ্জে হাটে হবে লোক সমাগম,
চলবে সেথায় রমরমা বানিজ্যিক আদান প্রদান।
কৃষাণ কৃষাণী খোলা প্রান্তরে ফলাবে সোনালী ফসল,
কুলি মেটে মজুর রাখবে চালু নগরায়নের যত কল।
আবার উচ্ছল হবে স্কুল কলেজ ভার্সিটি প্রাঙ্গণ,
পাঠে মনোনিবেশ হবে,
শিক্ষার্থীর মন মননে ঘূর্ণয়মান হবে পরীক্ষার দিনক্ষণ।
কচিকাঁচাগুলো সতেজতায় ডাঁটো হয়ে উঠবে আবার,
কিশোর কিশোরী তরুণ যুবারা সব,
বল্গাহীনতায় ছুটাবে প্রাণ ভোমরা তার।
প্রাণের ছোঁয়ায় বৃক্ষরাজি কাটাবে তার নিঃসঙ্গতা,
অসীম অন্তরীক্ষ ফিরে পাবে তার রূপবত্তার ক্রেতা।
জরা কেটে আবার শঙ্কা মুক্ত হবে আমাদের এই ধরা,
ফিরিয়ে দাও সুদিন তুমি, তুমিই সৃষ্টির স্রষ্টা মালিক কর্তা।
সৃষ্টির শঙ্কা দূর কর তুমি, বিধাতা থেকো না আর অধরা।
ভিন্নবার্তা/এমএসআই