রংপুরের বদরগঞ্জে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিয়ের দিন তারমিনা আক্তার ওরফে ফুলতি (১৪) নামের এক মাদরাসাছাত্রীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়েছেন এক যুবক। গুরুতর আহত ওই ছাত্রীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের সাজানোগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সে ওই এলাকার তোয়াব আলীর মেয়ে ও স্থানীয় লোহানীপাড়া দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তারমিনা আক্তারের বড় বোন তাহমিনার বিয়ে হয় মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়বালা এলাকায়। আত্মীয়তার সম্পর্কে ওই এলাকার মোনায়েম হোসেনের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন প্রেমের প্রস্তাব দেন তারমিনাকে। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে শাখাওয়াত হোসেন তারমিনাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। বুধবার (২৮ জুলাই) তারমিনা আক্তারের সঙ্গে অন্য ছেলের বিয়ের দিন ঠিক করা হয়। এ ঘটনা জানতে পেয়ে শাখাওয়াত হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তারমিনার ওপর।
ভোরের দিকে মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ি থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে তারমিনার বাড়িতে যান শাখাওয়াত হোসেন। এসময় বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। সাখাওয়াত ঘুমন্ত তারমিনাকে দরজার কাছে ডেকে নেন। পরে ছুরি দিয়ে দুই পা, মুখ, কপাল ও পাজরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন।
এসময় তারমিনা চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। শাখাওয়াতকে ধাওয়া দিলে মোটরসাইকেল নিয়ে তিনি পালিয়ে যান। পরে তারমিনাকে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে সে চিকিৎসাধীন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স (ইনচার্জ) রেবেকা সুলতানা বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে আজ সকাল ৮টার দিকে ভর্তি করা হয়। তার শরীরে মারাত্মক জখম রয়েছে।
লোহানীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাকিব হাসান ডলু শাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটির পরিবারকে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনি সহায়তা দিতে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন