শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, প্রকল্পসমূহের প্রকল্প পরিচালদের নিজ নিজ প্রকল্প এলাকায় অবস্থান করতে হবে। দফতর-সংস্থার প্রধানদের প্রকল্প এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন কার্যক্রম বাড়াতে হবে। কোভিড-১৯ সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে যে ধীরগতি ছিল, কাজের গতি বাড়িয়ে তা পূরণ করতে হবে।
রোববার অর্থবছরে (২০২১ জানুয়ারি মাসের) শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন। শিল্প সচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও কর্পোরেশনের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৪৪টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ৩টি কারিগরি সহায়তা এবং একটি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্প রয়েছে। সব মিলিয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৪০৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি খাতে ১ হাজার ২৭৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায্য খাতে ২ হাজার ৯৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন খাতে ৩৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর বিপরীতে ১ হাজার ১২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে সভায় তথ্য প্রকাশ করা হয়। সভায় জানানো হয়, শিল্প মন্ত্রণালয় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রগতি ৩২.৮৯ শতাংশ যা জাতীয় পর্যায়ের অগ্রগতির চেয়ে (জাতীয় পর্যায়ের অগ্রগতি ২৮.৪৫ শতাংশ) বেশি।
সভায় আরও জানানো হয়, রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ৭টি গুদাম নির্মাণ কাজ ২০২১ সালের মার্চ মাসে হবে। এছাড়াও এ প্রকল্পের বাকি গুদাম নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
সভায় জানানো হয়, জুন ২০২১ এর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মোট ৪৮টি প্রকল্পের মধ্যে ১৪টি প্রকল্প কার্যক্রম সমাপ্ত হবে। সভায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনিটরিং টিমের পরিদর্শনকৃত ৪টি প্রকল্পের প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি বলেন, প্রকল্পের কাজের গুণগতমান সঠিক রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে এবং প্রকল্পে কাজের তদারকি বাড়াতে হবে। সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার জন্য বাফার গোডাউনের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেন। প্রকল্পের কাজের গতি বাড়াতে মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা উইংয়ের সঙ্গে দফতর/সংস্থার সর্বাক্ষণিক যোগাযোগ রাখার উপর গুরুত্ব দেন।
সভাপতির বক্তব্যে শিল্পসচিব কে এম আলী আজম বলেন, সভায় যেসকল সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে তা বাস্তবায়নে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন