1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের প্রতিবেদন

নির্ধারিত সময়ে হচ্ছে না শিশু নিপীড়নের বিচার

ভিন্নবার্তা প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ৩:৩৮ pm

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ধারা ২০(৩)-এ বলা হয়েছে, বিচারের জন্য ধর্ষণ মামলা প্রাপ্তির তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালকে কাজ শেষ করতে হবে। আইনে এমন বাধ্যবাধকতা থাকলেও বাস্তবে তা কার্যকর হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে কন্যাশিশু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন ২০২২ উপস্থাপনকালে তারা এ অভিযোগ করেন।

প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি। তিনি জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই আট মাসে ৭৬ জন কন্যাশিশু যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে একজন বিশেষ শিশুও ছিল। অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে তিন জন, অপহরণ ও পাচার হয়েছে ১৩৬ জন, ২৮টি জেলায় গত আট মাসে ২৩০১ জন কন্যাশিশু বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে।

এছাড়া যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৩ জন, তাদের পাঁচ জন যৌতুক দিতে ব্যর্থ হওয়ায় হত্যার শিকার হয়েছে। ৫৭৪ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলেও জানান নাছিমা আক্তার জলি। তিনি আরও জানান, গত ৮ মাসে আত্মহত্যা করেছে ১৮১ জন কন্যাশিশু এবং ১৮৬ জন শিশু হত্যার শিকার হয়েছে।

সংগঠনের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ আর এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এগিয়ে যাওয়ার এসময়টিতে এসেও কন্যাশিশুর জন্মকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয় না। সামাজিকভাবে ছেলেসন্তান জন্ম দেওয়াকে গৌরবের বিষয় ভাবা হয়, যা আদতে সব কন্যাশিশুর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণই শুধু নয়, এটি কন্যাশিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণও বটে।

তিনি আরও বলেন, কন্যাশিশুদের প্রতি সহিংস আচরণ শুরু হয় একেবারে জন্মলগ্ন থেকে। কিছু ক্ষেত্রে ভ্রূণ-অবস্থা থেকেই। কন্যাশিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ ও বঞ্চনা প্রতিরোধে কর্মকৌশল নির্ধারণের পাশাপাশি অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কন্যাশিশুদের সার্বিক চিত্র জানা ভীষণ প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের পক্ষ থেকে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশগুলো হলো—

১. শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার সব ঘটনাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

২. ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’ নামে একটি আইন জরুরিভিত্তিতে প্রণয়ন করতে হবে।

৩. ঘটনার শিকার কন্যাশিশু ও নারীর পরিবর্তে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হবে ও আইনের আওতায় আনতে হবে। এ সম্পর্কিত প্রচলিত আইনের বিধান সংশোধন করতে হবে।

৪. উচ্চপর্যায়ের আইসিটি বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় সব ধরনের পর্নোগ্রাফিক সাইট বন্ধ সহ পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে।

৫. কন্যাশিশু নির্যাতনকারীদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ করতে হবে।

৬. শিশু সুরক্ষায় শিশুদের জন্য একটি পৃথক অধিদপ্তর গঠন করতে হবে।

৭. বাল্যবিবাহ বন্ধের লক্ষ্যে সামাজিক সুরক্ষার বাজেট বৃদ্ধি করে অগ্রাধিকারভিত্তিতে কন্যাশিশু ও তাদের অভিভাবকদের এর আওতায় আনতে হবে এবং বাল্যবিবাহ বন্ধে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হবে।

৮. সাইবার সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা, জাতীয় বাজেটে সাইবার সচেতনতায় গুরুত্ব দেওয়া, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সিএসআরে সাইবার সচেতনতা বাধ্যতামূলক করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাইবার পাঠ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

৯. নির্যাতন বন্ধে বিদ্যমান আইনগুলোর সঠিক ও কঠোর প্রয়োগ বাস্তবায়ন করতে হবে।

১০. নারী-পুরুষ, সরকার, প্রশাসন, নাগরিক সমাজ, মিডিয়া ও পরিবারের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড প্রোটেকশন এডুকোর স্পেশালিস্ট মো. শহীদুল ইসলাম, গুডনেইবারস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাইনুদ্দিন মাইনুল, হেলেন মনিষা সরকার প্রমুখ।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন



আরো




মাসিক আর্কাইভ