চারিদিকে রাস্তা জুড়েই শতশত নারী-পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধের আনন্দমুখর চলাফেরা দেখলে মনে হবে এ যেন সেই আগের বৈশাখী মেলার দৃশ্য। চারিদিকে উৎসবের আমেজ। সকলের যাত্রাপথ ভোট কেন্দ্রে। সেখানে মানুষ সামলানো যেন মুসকিল হয়ে পড়েছে। কেন্দ্রের একদিক দিয়ে পুরুষ ও অন্যদিক দিয়ে মহিলারা প্রবেশ করছেন। প্রবেশ করে তাদের নাগরিকত্ব মূল্যায়নের একমাত্র অধিকারটুকু নিজ হাতে প্রয়োগ করতে পেরে চোখে মুখে ফুটে উঠেছে রাজ্য জয়ের ঝিলিক।

মঙ্গলবার বগুড়ার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে ৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহনের চিত্র এটি। নির্বাচনে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে সকাল থেকেই ভোটারের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। ভোট দিতে আসা বৃদ্ধ ছলিম উদ্দিন বলেন, ‘কত বছর পর এত নিশ্চিন্তে ভোট দিলাম মনে নেই।

জানা গেছে গত ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল নির্বাচনে কালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে সাইফুল ইসলাম ফটিক নির্বাচিত হন। বার্ধক্যজনিত কারনে ২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ কারণে ১৬ ফেব্রুয়ারী সরকারি ভাবে চেয়ারম্যান পদ শুন্য ঘোষনা করা হয়। নির্বাচনে ৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন শিপন বলেন, ভোটারের উপস্থিতি অবাক করার মতো। আমরা বাড়ি বাড়ি প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কথা বুঝাতে পেরেছি। সোমবার রাতে আমাদের উপর একটি প্রভাবশালী মহলের সন্ত্রাসী হামলায় ওসি সাহেব যে ভূমিকা রেখেছেন এতে মানুষ বিশ্বাস করেছে ভোট কেন্দ্রে কোনো রকম সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চলবে না। তাই মানুষ ভোট দিয়ে নিশ্চিন্তে বাড়ি যাচ্ছে।

অন্য প্রার্থী হারেজ উদ্দিন আকন্দ জানান, ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারছে এটাই তাদের সফলতা। জয় পরাজয় যাই হোক তা মেনে নিয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চান।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা এলাকার প্রতিটি মানুষকে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেছি।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। সুশৃঙ্খলভাবে যাতে সবাই ভোট দিতে পারে তার জন্য কাজ করেছি। নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠ করতে র‌্যাব, পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থা কাজ করেছেন।

ভিন্নবার্তা/এসআর