1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :

দুই সিটির উচ্ছেদ অভিযানের ফলাফল শূন্য

শফিকুল ইসলাম
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৮ অক্টোবর, ২০২১ ৭:০৮ pm

সড়ক ও ফুটপাতসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা দখল মুক্ত করতে প্রায় প্রতিদিন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এসব অভিযানে প্রচুর অর্থ ব্যায় হচ্ছে। কিন্তু কিছু দিন না যেতেই তা আবারো পুরোপুরি দখলে চলে যাচ্ছে। ফলে এ অভিযানের ফলাফল শূন্য বলে মনে করছেন নগর বিশেষজ্ঞরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর অধিকাংশ সরকারি সম্পত্তি দুই সিটির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিশেষ করে সড়ক, ফুটপাতসহ একাধিক খালি জায়গা রয়েছে দুই প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু এসব সম্পত্তি কোন না কোন ভাবে প্রভাবশালী মহল দখল করে দীর্ঘ দিন থেকে ভোগ করে আসছে। আর তা দখলমুক্ত করতে প্রায় চলে উচ্ছেদ অভিযান। কিন্তু এ অভিযান পরিচালনা কিছুদিন পরই তা ফের দখলে নিয়ে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা। যার ফলে প্রচুর অর্থ ব্যায় করে এসব অভিযান পরিচালনা করে কোন লাভ হচ্ছে না।

জানা গেছে, আরো কয়েক মাস আগে নগরীর আগারগাঁও এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালায় ডিএনসিসি। অভিযানে শিশুমেলা, শিশু হাসপাতাল ও জাতীয় অর্থপেডিকস হাসপাতালের সামনের সড়ক ও ফুটপাত দখল করে গড়ে তোলা ২৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এরপর এক মাস এসব জায়গা দখলমুক্ত ছিলো। কিন্তু এক মাস পর তা আবারো পুরোপুরি দখলে চলে গেছে। এর আগেও একাধিকবার এখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিলো। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। এদিকে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধিন ধানমন্ডি সাত মসজিদ সড়কের দুই পাশ মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে।

নিউমার্কেটের ফুটপাত দখল করে প্রতিদিনই বসছে ভাসমান ব্যবসায়ীরা। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়ক ও ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠেছে শতাধিক স্থাপনা। চলতি বছরে এসব স্থানে কয়েকবার উচ্ছেদ করেছে ডিএসসিসি। কিন্তু তা ফের দখলে চলে গেছে। এছাড়া, গুলিস্তান, মতিঝিলসহ একাধিক সড়ক ও ফুটপাত একাধিকবার দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার পরও ফের দখলে চলে গেছে। যারফলে এসব উচ্ছেদ অভিযানের কোন সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী। এভাবে সড়ক ও ফুটপাত দখলে থাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

নগর বিশেষজ্ঞ ইকবাল হাবিব বলেন, আমরা প্রায় দেখি সড়ক, ফুটপাতসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে। কিন্তু আবার কিছুদিন পর তা দখল হতেও দেখছি। তাহলে এভাবে সরকারের অর্থ নষ্ট করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে লাভটা কি? এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে আরো কঠোর হতে হবে। না হয় এভাবে অর্থ নষ্ট করে কিছুদিন পর পর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে লাভ নেই।

ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, আজ উচ্ছেদ করলে কিছু দিন পর আবার তা দখলে চলে যায় এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। একই জায়গা আমরা দুবার, তিনবার পর্যন্ত উচ্ছেদ করছি। তবে উচ্ছেদ কার্যক্রম থেকে শতভাগ ফল পেতে জনগণকে সম্পৃক্ত হতে হবে। না হয় এটা শতভাগ বাস্তবায়ন হবে না। প্রতিদিনই আমাদের টিম উচ্ছেদ অভিযানে কাজ করছে। কিন্তু এতে জনসম্পৃক্ততা যদি না হয়, তাহলে শতভাগ ফল আমরা পাব না।

দক্ষিণ সিটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু উচ্ছেদের পর সার্বক্ষণিক পাহারা দেওয়া সম্ভব না। যার ফলে তা ফের দখলে চলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, উচ্ছেদে আমার অনেক খরচ হচ্ছে আবার যাদের মালামাল জব্দ করা হচ্ছে, তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

আমরা যখনই উচ্ছেদ করি, পরবর্তী একটা নির্দেশনা থাকে আমাদের সকলের প্রতি এই জায়গাটি যেন পুনরায় বেদখল না হতে পারে। কিন্তু তারা এসব শুনছে না। আমরা সংশ্লিষ্ট দখলদারকে জরিবানাও করছি। এ বিষয়ে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

ভিন্নবার্তা/এমএসআই



আরো




মাসিক আর্কাইভ