
পূবের জানালা খুলি-
তপনের কর,
নবীন প্রভাতে রোজ-
ভরে দেয় ঘর।
ওই দূরে বনতল-
উঁচু শির তরু,
আকাশটা ছুঁতে চায়,
পাতা সরু সরু!
দু’টি গাছ পাশাপাশি-
মাঝখানে ফাঁকা,
যেন মানচিত্র-
স্বদেশটি আঁকা!
নীচে কোণ অগ্নি-
দারুচিনি দ্বীপ,
রাক্ষস ছিল আগে,
বুক ঢিপ্ ঢিপ্!
উপরেতে প্রতিবেশী-
দ্বেষ বহুকাল!
আগুনটা জ্বলছেই-
পুড়ছে কপাল।
কত বীর সেনানী-
দিয়ে গেছে প্রাণ,
সীমান্তে সংগ্রাম-
শোনিতের বান।
একখানি ছোট দেশ-
কোণে লাগালাগি,
ইলিশ তার উঠলে-
খায় ভাগাভাগি।
ভেবে ভেবে চেয়ে আছি-
পুরোই বিভোর,
খুলে দিল এসে কে-
দখি্নের দোর!
চেয়ে দেখি হাসিমুখ-
কপোলে সিঁদুর,
কাহিনী যতই হোক-
বেদনা বিধূর।
চাঁদমুখ বলে হেসে-
কি ভাবিস্ খোকা?
কাজ ঠিক জুটবেই-
দেখবি রে বোকা।
ওই দেখো পূবে চেয়ে-
সরু সরু পাতা,
দূরে দুই গাছ ওই-
মাঝে দেশ মাতা।
কপালেতে তার দেখি-
উদয়ের রবি,
দুইজনই মা আমার-
স্বর্গ মর্ত্য সবই।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন