দাবি-দাওয়া নিয়ে মাঠে নেমেছেন ১১-২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারীরা। সরকারি চাকরিজীবীদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরামের আয়োজনে আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এতে বক্তারা দাবি করেন, স্থায়ী পে কমিশন গঠন করে নবম পে-স্কেল ঘোষণার মাধ্যমে বেতনবৈষম্য নিরসনসহ গ্রেড অনুযায়ী বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারণ ও গ্রেড সংখ্যা কমাতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের আগে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে যৌক্তিক পরিমাণে মহার্ঘভাতা প্রদান করতে হবে।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে শতাধিক সরকারি কর্মচারী অংশ নেন। সেখানে তারা মোট আটটি দাবি তুলে ধরেন। ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীদের বাকি সাতটি দাবি হলো :
১. এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি বাস্তবায়ন করতে হবে।
২. সকল পদে পদোন্নতি বা পাঁচ বছর পরপর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করে ব্লক পোস্ট নিয়মিত করতে হবে।
৩. টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা বজায় রাখতে হবে।
৪. সচিবালয়ের মতো সচিবালয়ের বাইরের সব দফতর, অধিদফতর ও পরিদফতরে পদবি ও গ্রেড পরিবর্তন করতে হবে।
৫. সকল ভাতা বাজার চাহিদা অনুযায়ী পুনর্নির্ধারণ করতে হবে।
৬. নিম্ন বেতনভোগীদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং বিদ্যমান গ্র্যাচুইটি বা আনুতোষিক হার ৯০ শতাংশের পরিবর্তে ১০০ ভাগ পুনর্নির্ধারণসহ পেনশন গ্র্যাচুইটির হার এক টাকা সমান ৫০০ টাকা করতে হবে।
৭. কাজের ধরন অনুযায়ী পদের নাম ও গ্রেড একীভূত করতে হবে।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন