স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : হাল আমলের মডেল ও নায়ক নায়িকাদের মতোই বিচ্ছেদ ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৪০ ইঞ্চি বর ও ৪২ ইঞ্চি উচ্চতার কনের আলোচিত বিয়ে। বর আব্বাস মন্ডলের বাউন্ডুলে জীবন যাপনের কারণে মাত্র ৭ মাসেই থেমে গেছে এই দম্পত্তির দ্বৈথ রথ। দুই পরিবারের এখন সনাইয়ের সুর। বর আব্বাস মন্ডলের বয়স ৩০ হলেও তার উচ্চতা মাত্র ৪০ ইঞ্চি। এ করণে বিয়ে নিয়ে তার পরিবার ছিল দুশ্চিন্তায়। শেষ মেষ সন্ধান পেয়ে যায় ১৮ বছর বয়সী মিম খাতুনের। যার উচ্চতা ছিল ৪২ ইঞ্চি। গত ৯ এপ্রিল আব্বাস ও মিমের মধ্যে ধুমধামের সাথে বিয়ে হয়। এলাকায় বিয়েটি ছিল বেশ আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর। গণমাধ্যম, ইউটিউব, ফেসবুকসহ স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এই বিয়ের সংবাদ। কিন্তু মিমের কপাল পুড়লো মাত্র ৭ মাসে। এলাকাবাসির ভাষ্যমতে, বিয়ের আগ থেকেই সংসার বা বিয়ের পিড়িতে বসার ইচ্ছে ছিল না আব্বাসের। আব্বাস ছন্নছাড়া আর বাউন্ডুলে প্রকৃতির হওয়ায় ভেঙ্গে যায় তাদের সংসার। মিমের পিতা ইউনুস আলী মোল্লা জানান, বড় আশা করে মিমকে তারা বিয়ে দিয়েছিলেন ৪০ ইঞ্চি উচ্চতার আব্বাস উদ্দিনের সাথে। কিন্তু ৭ মাসের মাথায় গত ২০ অক্টোবর বুধবার আব্বাস মিম দম্পত্তির বিচ্ছেদ ঘটে। আব্বাস মন্ডল ঝিনাইদহের শৈলকুপার আউশিয়া গ্রামের আজিবর মন্ডলের ছেলে ও কনে মিম খাতুন একই উপজেলার লক্ষণন্দিয়া গ্রামের ইউনুস আলী মোল্যার মেয়ে। বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে আব্বাস মন্ডলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিভিন্ন সমস্যার কারনে দুই পরিবারের সম্মতিতেই তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে। সম্পুর্ন বৈধ ভাবেই এই বিচ্ছেদ কার্যকর হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। আব্বাস মন্ডলের পিতা আজিবর মন্ডল বলেন, বড় আশা করে তিনি ছেলেকে বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্ত বিচ্ছেদের ঘটনায় তিনি মর্মাহত।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন