1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :

গ্রাহকের ৪ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা এনজিও পরিচালক

ভিন্নবার্তা প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২১ ৭:০০ pm

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গ্রাহকের প্রায় চার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে এনজিও ‘যমুনা মানবিক উন্নয়ন সংস্থা’র পরিচালক মো. মঈন আলী লাপাত্তা হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, টাকা ফেরতের আশায় প্রতিদিন অফিসের সামনে শত শত নারী-পুরুষ গ্রাহক ভিড় জমিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, মো. মইন আলী শিবগঞ্জ উপজেলায় যমুনা মানবিক উন্নয়ন সংস্থা নামে একটি এনজিও খুলেছেন। এরপর তিনি চককীর্তি ইউনিয়নের চাতরা নতুন বাজার শাখায় দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকদের কাছ থেকে ঋণ ও সঞ্চয় আদায় করে প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ফলে টাকা ফেরতের আশায় ১০ দিন ধরে ওই এনজিও’র দুই কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। তবে গ্রাহকরা বলছেন, তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়নি। বরং তাদের টাকা ফেরত না দেওয়ার কৌশল হিসেবে তারা নিজেরাই ১০ দিন ধরে অফিসে থাকছেন।

অবরুদ্ধ এরিয়া ম্যানেজার কবির আলী ও হিসাব রক্ষক সেলিম রেজা জানান, এনজিও’র চাতরা শাখায় প্রায় ৫০০ গ্রাহক রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ২০০ জন এফডিআর গ্রাহক। তাদের আমানতের পরিমাণ প্রায় ৩ কোটি টাকা। ২৪ শতাংশ লাভ দিতে চেয়ে বিভিন্ন মেয়াদে টাকা নেওয়া হয়েছে গ্রাহকদের কাছ থেকে। বাকি প্রায় ৩০০ জন রয়েছেন সাধারণ গ্রাহক। তারা বলেন, তাদের পরিচালক মো. মঈন আলী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে এই শাখা থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন এবং প্রায় ৬ মাস থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছেন। আর বাকি টাকা মাঠে ঋণ হিসেবে দেওয়া আছে। কিন্তু করোনার কারণে ঋণের কিস্তি আদায় হয়নি।
তারা আরও জানান, পরিচালক মো. মঈন আলী এসব টাকা দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে জমি, বাড়ি ও মার্কেট কিনে তার স্ত্রীর নামে রেজিস্ট্রি করেছেন বলে তারা জানতে পেরেছেন। করোনাকালে পরিচালক তাদের বেতনও ঠিকমতো দেয়নি বলে জানান তারা। তবে গত ১০ অক্টোবর তারা মঈন আলীর সাথে যোগাযোগ করলে গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখন আর ফোন ধরেন না।

ওই এনজিও’র গ্রাহক চাতরা এলাকার হাজেরা বেগম বলেন, আমি বিধবা মহিলা। লাভের আশায় ৮ লাখ টাকার এফডিআর করেছিলাম। লাভ তো দূরের কথা, এখন পুঁজিটাও পাচ্ছি না।

একই কথা বলেন, এলাকার বাসরী বেগম। তিনিও ২ লাখ টাকার এফডিআর করেছিলেন। অনেক দিন থেকে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। শুধু তারাই নয়, এ ধরনের শতাধিক নারী-পুরুষ অফিসের বাইরে অবস্থান করে একই ধরনের অভিযোগ করেন।

হারুন অর রশিদ পাভেল মিঞা নামে এলাকার এক সমাজসেবক জানান, এ শাখায় ২২ জন ভিক্ষুক, ৫০ জন ভ্যানওয়ালা, ১০০ জন বিধবা ও শতাধিক কামলা-দিনমজুর টাকা জমা দিয়ে কান্নায় বুক ভাসাচ্ছেন। এ ব্যাপারে পরিচালক মঈন আলীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার দুটি নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়।

অন্যদিকে, শিবগঞ্জ উপজেলা এনজিও ফোরামের সভাপতি তোহিদুল আলম টিয়া বলেন, ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও যমুনা এনজিও’র পরিচালক মঈন আলীর জন্য এটি একটি দুর্ঘটনা। বৃহত্তর জনস্বার্থে আমরা শিগগিরই এনজিও ফোরামের সভা ডেকে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করবো।

অপরদিকে, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস বলেন, শুধু সমাজসেবা থেকেই নয়, তারা যুব উন্নয়ন ও মহিলা বিষয়ক দপ্তর থেকেও অনুমোদন নিয়েছে। কিন্তু তাদের এমআরএ’র কোনো অনুমোদন নেই।

তিনি আরও বলেন, গ্রাহকরা সচেতন না হওয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে অভিযোগ পেলেই সঠিক তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন



আরো




মাসিক আর্কাইভ