1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :
স্বাস্থবিধি মানা সম্ভব হবে না

খুশি ব্যবসায়ীরা, চরম আতঙ্কে ঢাকাবাসী

শফিকুল ইসলাম
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১ ৭:৩০ pm

করোনাভাইরাস ঠেকাতে রাজধানীসহ সারাদেশে সরকার ঘোষিত দুই সপ্তাহের লকডাউন ২৮ এপ্রিলের পর থাকছে না। লকডাউনে ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে। লকডাউনের মধ্যেই সড়কে যান চলাচল ও নগরবাসীর বাইরে থাকার প্রবণতাও অনেক বেড়েছে। এরমধ্যে রোববার থেকে রাজধানীর দোকানপাট ও শপিংমল খোলা হচ্ছে। এতে ব্যাবসায়ীরা খুশি হলেও মার্কেটগুলো থেকে করোনা ছড়ানোর আতঙ্কে রয়েছেন ঢাকাবাসী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস রোধে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। লকডাউন পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। সেই মেয়াদ শেষ হয় গত বুধবার (২১ এপ্রিল) মধ্যরাতে। তবে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় লকডাউনের মেয়াদ আগামী ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ নগরবাসী এ লকডাউন অমান্য করে তাদের নিয়োমিত কার্যক্রম চালাচ্ছে।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে হুমকির মুখে রয়েছে পুরো রাজধানীবাসী। সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে অপ্রয়োজনে অনেকে বাসা থেকে বের হয়ে ঘোরাফেরা করছে। পাড়া-মহল্লায় আনাঘোনাও অনেক বেড়েছে। আইন শৃংখলা বাহিনীর অনুরোধও মানছে না অনেকে। নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচা বাজার খোলা থাকায় এখানেও ভিড় থাকে সবক সময়।
এদিকে, আগামী ২৮ এপ্রিলের পর দেশে আর লকডাউন উঠে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধীরে ধীরে সবকিছু খুলবে। চালু হবে গণপরিবহন, সীমিত পরিসরে খুলবে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস। এমতাবস্থায় করোনা বাড়ার আতঙ্কে রয়েছে নগরবাসী।

এদিকে, চলমান লকডাউনের কারণে ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। তারা ধীর্ঘদিন ধরের স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। এমন পরিস্থিতিতে দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এমতাবস্থায় সামনে ঈদ থাকায় স্বাভাবিক কারণে মার্কেটগুলোদে ভির থাকবে। ফলে এ ভির সামলাতে সরকারের নির্দেশিক স্বাস্থ্যবিধি মানা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। ফলে মার্কেটগুলো থেকে ব্যাপক করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা করেছেন নগরবাসী।

নগরবাসীর মতে, লকডাউনে আগে থেকেই শিল্প-কারখানা খোলা। কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধ আবার কিছু প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে এভাবে কোনোদিন লকডাউন হয় না। এভাবে সার্বিক অব্যবস্থাপনার কারণে লকডাউন এখন অর্ধলকডাউনে পরিণত হয়েছে যা উপকারের চেয়ে ক্ষতি করছে বেশী। এখন দোকান পাটও খুলে দেয়া হচ্ছে। এখন আমাদেও সবার সচেতন হতে হবে। না হয় করোনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, করোনার কারণে ব্যবসায়ীদের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। আমাদের চোখে মুখে শুধু বালুচর। আমাদের সব ইনভেস্টমেন্ট এখন নষ্ট হওয়ার পথে। সেই ক্ষেত্রে আমরা সরকারের কাছে আবেদন করেছে দোকানপাট খুলে দিতে। সরকার আমাদেও আহবানে সারা দিয়ে রোববার থেকে দোকাপাট খুলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা সরকাওে কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, দোকান ও শপিং মল খুলে দেওয়া হলে ব্যবসায়ীরা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করবেন। বড় কথা হলো ক্রেতা-বিক্রেতা সচেতন হলে আশাকরি মার্কেট থেকে করোনা ছড়াবে না ।

ভিন্নবার্তা/এমএসআই



আরো




মাসিক আর্কাইভ