1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :

খুচরা অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে হবে : স্বাস্থ্য মহাপরিচালক

ভিন্নবার্তা প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২২ ৭:৩১ pm

দেশে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ভয়াবহ আকার ধারণ করতে চলেছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম।

তিনি বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের প্রধান কারণ হলো যত্রতত্র এর ব্যবহার। এর ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে খুচরা অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে হবে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মহাপরিচালক।

রোববার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সমস্যা প্রতিরোধ গড় সবাই মিলে’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

খুরশিদ আলম বলেন, জ্বর হলেই সাধারণ ওষুধের সঙ্গে দেখা যায় অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট ২-৩টা নিয়ে যাচ্ছে। এটা সাধারণ মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্সের জন্য বড় কারণ। এজন্য নিয়ম করা প্রয়োজন কেউ অ্যান্টিবায়োটিক কিনলে ফুল ডোজ কিনতে হবে, না হয় কিনবে না।

তিনি বলেন, রোগীদের পকেটের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে যেই স্ট্যান্ডার্ড মেনে হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তা সঠিক হচ্ছে কি না সেটাও একটা বড় ইস্যু। আমরা যদি আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবার সঙ্গে তুলনা করি, প্রধানত আমাদের অপারেশন থিয়েটার কিংবা বেড থেকে সংক্রমণ হওয়ারই কথা না। এটি আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু সেটা আমাদের এখানে হচ্ছে।

মহাপরিচালক বলেন, আমাদের সেবা প্রত্যাশী লোকজন বেশি, কিন্তু সুযোগ-সুবিধা কম। প্রতিদিন আমাদের অপারেশন থিয়েটারগুলো থেকে জীবাণুর সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। আমরা থিয়েটারের নিয়ম-কানুন মানছি না। ওয়ার্ড বয়, সিস্টার, লোকজন, রোগী এমনকি চিকিৎসকরাও মানছেন না। লোকজন সরাসরি ডুকে যাচ্ছে গাউন পরছে না, বাইরের কাপড় নিয়ে ডুকে যায়। এই বিষয়গুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিৎ।

খুরশিদ আলম আরও বলেন, রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারিত যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। অপারেশনের যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে ব্জীবাণুমুক্ত না করে বার বার ব্যবহার করা হচ্ছে, এতে সংক্রমণ হয়ে থাকে। রোগীদের গ্যাস নেওয়ার পাইপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেবা-একই জিনিস থেকে ব্যবহার করছে অনেকে। এতে একজনের মুখের জীবাণু ছড়াচ্ছে আরেকজনের কাছে। অনেক জীবাণু আছে যেটা গরম পান দিয়ে বয়েল করার পরও মারা যায় না। এ জীবাণুও যাতে না থাকে সেটার জন্যও ব্যবস্থা নিতে হবে।

এসময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে আইন প্রয়োজন, সঙ্গে আইন প্রয়োগকারীও প্রয়োজন। এছাড়া দেখা যায় ফার্মাসিস্ট কোম্পানিরা ইনসেনটিভ ডাক্তারকে দিচ্ছে, সঙ্গে অন্যদেরও দেওয়া হচ্ছে। আমরা ডাক্তারকে বন্ধ করলেও কোয়াককে তো আইনে আনা যাবে না। ওজন্য শুধু আইন দিয়েও ব্যবস্থা হবে না।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি।

অনুষ্ঠানে শুরুতে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাক্তন মহাপরিচালক এবং সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজির সভাপতি ডা. সানিয়া তাহমিনা।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন



আরো




মাসিক আর্কাইভ