কারে আজ বাসবো ভালো
তোমারে নাকি তোমার কবিতার সুখ,
তোমার চকচকে সোনালী দেহটাতে
আজ কতই না সুখের আলপনা;
তোমার কবিতারে বুকে নিয়ে
শুয়ে শুয়ে ভাসি সুখের ফোয়ারাতে,
ঘুমাতে গিয়ে বার বার জেগে উঠি
চক্ষু জুড়াই কোন এক কবিতাতে;
কি এক শিহরণ জাগে বুকে
গুড়িয়ে ফেলি উড়ন চন্ডী মনটাকে,
তুমি কি দোস্ত হবে কখনো
বিনম্র ভালোবাসায় এ কৃষ্ণাঙ্গ দেহে;
জানো! তোমার বুকের কাব্য গ্রন্থ
জড়ায় প্রেয়সীর সুগন্ধিত কেশে,
প্রজাপতিরা আডডায় মাতে তোমাতে
লোভাতুর কেশ রাশির ভাঁজে ভাঁজে;
মাছিরাও পরকীয়ায় মত্ত হয়ে ওঠে
আমার প্রেয়সীর রুপের ভান্ডারে,
চেনা-অচেনা মনপাখী উড়ে আসে
আর বাসা বাঁধে আপন মনে;
দোস্ত তুমি কি বলবেনা কিছুই
বজ্র কঠিন দুটি বাহু প্রসারিত করে,
লজ্যাবতীর শিকড় উপড়ে ফেলে
কান্নার জলে স্নান করে আসো;
দোস্ত বলে চিৎকার করে করে
নিভে দাও জোছনার আলো,
আবারো কি তোমার নাভিশ্বাস বাড়বে
দুকিনারা কি কেঁপে কেঁপে উঠবে;
নতুন নতুন বাক্য সম্ভার নিয়ে
জেগে উঠবে কাশবন সাদা সুখ বুকে,
কোনই মামলা-হামলা হবেনা
শান্তির মদিরা বুকে শুঁকে দেখো আমাকে;
কষ্টের গোল্লা ছুটে সেই কবে তোমায়
পদ্মার তীরে ফেলে রেখে এসেছি,
তোমার গতরখানা সিক্ত করো
কৃষ্ণাঙ্গী প্রিয়ার মাঝে প্রিয়াংকা ফলাতে।