বাসর ঘরে ফুলের গন্ধে
একলা জেগে থাকি,
শরীর জুড়ে আগ্রাসী বিষ
চোখের জলে মাখি।
কাঁদছে আমার পুতুলবাড়ি,
এক্কাদোক্কা মাঠ,
খুঁজছে আমায় উদাস চোখে
স্কুলের কড়িকাঠ।
বইগুলো সব উনুন আঁচে
দগ্ধে হল ছাই,
বাপের রক্তচক্ষুই বলে
আমি আপদ বালাই।
এক সিকি অপরাধের সাজায়
করতে জীবন পার,
ছুঁড়ে দেওয়া হল যেথায়
অতল অন্ধকার,
শ্বশুরবাড়ির জবাই করার
নধর পাঁঠা হয়ে,
শোণিত-সিঁদুর ছোট্ট নালায়
হেলায় যাবে বয়ে।
খুবলে ছিঁড়ে মাংস দেব,
দেব শ্রমের ক্লান্তি,
মানব জীবন সস্তাদরে
বিকিয়ে খুঁজব শান্তি।
পিঠ পেতে সব আঘাত নিয়ে
নেশায় দেব স্ফূর্তি,
চুবিয়ে মেরে শব্দ-কথন
পিষব বাঁচার আর্তি।
গনগনে ওই উনুন আঁচে
পুড়িয়ে মারব স্বপন,
জীবন আমায় দিয়েছিল ভাষা,
আজ তা অগ্নিদহন।
রোগীর সেবায় অন্বেষিত
জীবনের মূলমন্ত্র,
স্টেথোস্কোপ যে লক্ষ্য ছিল,
আজ তা শুধুই যন্ত্র।
অভীষ্ট আজ হৃদয় চিরে
করছে ফালা ফালা,
নিশির কালোয়,লালের স্রোতেই
ভস্ম হবে জ্বালা।
আজ আমি এই আঁধার ঘরে
মেলি আহত কন্ঠ,
আমার জীবন অশ্রুলিপি।
যন্ত্রনা আকন্ঠ।
বিনা দোষে শৈশবের সবুজে
এই লালে বাজ হানো,
হৃদের কোণে কি সুর বাজে?
বন্ধ চোখে শোনো।
কাঁপিয়ে বাতাস,আওয়াজ তোলো,
ভাঙ্গো লৌহবেড়ি,
কিশলয়ের সবুজ আলোয়
সভ্য সমাজ গড়ি।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন