মিলি হক
যদি আর কোথাও না পাও বাগেরহাট যেও
যদি না পাও সেখানে মংলায় যেও
বাস থেকে নেমে কৃষ্ণচূড়া গাছটাকে দেখো
তারপর চলে যেও শিবসা পাড়ে যদি
সেখানেও না পাও হাসনাহেনা গাছ আছে
এতিমখানা মাদ্রাসা পাড়ে নীলগজা সেখানেই
সেখানেই আমাকে সমাহিত করার কথা।
বলেছিলাম চাঁদপাই মাছের ঘেরে নিও
এক চাঁদনী রাতে ধু – ধু পানির ঢালে
মালোদের বাড়ি ভোলার মা মেঘল পাখি
রোদের আকাশ জুড়ে মেঘ শূন্য সজল আঁখি
বাসন্তী সন্ধ্যায় কার বেসুরো বাঁশি
প্রাচীন প্রাচীরে মক্তবের পাশে দেখো
বাস্তুসাপ চিনি না জানি না এই সব সুর শুধু দেখি।
ধেয়ে আসে মৃত্যু অসুর সর্পিনীর রূপ ধরে দংশিয়
নীলগজা সেখানেই সমাহিত করো
যদিও পৈত্রিক সম্পত্তি সেটুকুও নাই
মাতব্বরেরা করেছে সাবাড়
ভেলায় করে ভাসিয়ে দিও
যেন আমি পৌঁছে যাই বসন্ত উৎসবে
ভাসবো অকূল সাগরে।
পঞ্চমীর চাঁদ এসে গিলে নেবে আমাকে
বুঝতে পারবো না কিভাবে কে এসে খেয়ে গেলো
মহামারী নাকি সর্পের খেলা
সমাধি সমাদৃত অপরূপ চাঁদ
এটা বড়ো জীবনের সাধ।