1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :

আ.লীগের জনসভার ‘বিশেষ ট্রেন’ থেকে পড়ে একজনের মৃত্যু

ভিন্নবার্তা প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩ ৩:০৩ pm

রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের জনসভায় যাতায়াতের ‘বিশেষ ট্রেন’ থেকে পড়ে মুসা সরকার (৪০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

মুসা সরকারের বাড়ি নাটোর সদরের কেশবপুর এলাকায়। রোববার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন এলাকায় ট্রেন থেকে পড়ে আহত হন। এরপর তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।

রাজশাহীর মাদরাসা মাঠে গতকাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যাতায়াতের জন্য পশ্চিমাঞ্চল রেলের আটটি ট্রেন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ভাড়া করা হয়েছিল। এর একটি ট্রেন নাটোর থেকে এসেছিল। এই ট্রেনে মুসা গতকাল সকালে জনসভায় এসেছিলেন। সন্ধ্যায় ফিরে যাওয়ার সময় তিনি ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যান।

ট্রেন থেকে পড়ার খবর পেয়ে রাতে রামেক হাসপাতালে যান মুসা সরকারের ভাই ইসরাফিল সরকার। তিনি বলেন, তার ভাই কৃষিকাজ করেন। সেভাবে রাজনীতি করেন না। এমনি দল সমর্থন করেন। বাড়িতে ছিলেন বলেই জনসভায় এসেছিলেন।

ট্রেন থেকে পড়ার পর মুসা সরকারকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের দুই শিক্ষার্থী উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এই দুই ছাত্রের একজন উৎপল চন্দ্র পাল বলেন, সন্ধ্যার পর তিনি ও সহপাঠী আশরাফুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের দিকে অবস্থান করছিলেন। এ সময় তারা দেখতে পান জনসভাফেরত নাটোরগামী বিশেষ ট্রেনের ছাদ থেকে এক ব্যক্তি পড়ে যান। তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পান। তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। তারা ওই ব্যক্তির মুঠোফোন নিয়ে সর্বশেষ কথা বলা একটি নম্বরে ফোন দিয়ে পরিচয় নিশ্চিত হন।

উৎপল চন্দ্র আরও বলেন, মুসা সরকারকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা অবস্থা দেখে আইসিইউতে নেওয়ার সুপারিশ করেন। সেখানে চিকিৎসক জানান, তিন ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন। আশরাফুল ইসলাম এক ব্যাগ দিয়েছেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে উৎপল আরেক ব্যাগ রক্ত দেন। খবর পেয়ে মুসার ভাই ও বোন আসেন।

হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ওই ব্যক্তিকে সম্পূর্ণ লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। রাতে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। সোমবার বেলা ১টার দিকে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দিয়ে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন



আরো




মাসিক আর্কাইভ