সুযোগ এসেছে কয়েকবার। শেষ পর্যন্ত হয়েছে হাতছাড়া। অবশেষে আর্চারিতে হতাশা কাটিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। তুরস্কের ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে পদক নিশ্চিত করেছে তারা। আর্চারিতে মেয়েদের হাত ধরে এল সে সুখবর। র্যাঙ্কিং রাউন্ডের দাপুটে পারফরম্যান্সে সাওয়ার হয়ে কম্পাউন্ড দলগত মহিলা বিভাগের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। তাতে এবারের আসরে প্রথম পদক পাওয়াও নিশ্চিত হয়ে গেছে।
কনিয়াতে সোমবার কম্পাউন্ড মহিলা এককের কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে রোকসানা আক্তার ৬৮২ স্কোর করে ১০ প্রতিযোগীর মধ্যে পঞ্চম, শ্যামলী রায় ৬৮০ স্কোর করে ষষ্ঠ এবং পুস্পিতা জামান (৬৭২ স্কোর) অষ্টম হন। এই পারফরম্যান্সের সুবাদের রোকসানা, শ্যামলী ও পুস্পিতাকে নিয়ে গড়া বাংলাদেশ দল ২০৩৪ স্কোর করে দ্বিতীয় হয়ে উঠেছে ফাইনালে। আগামী বুধবার সোনার পদকের লড়াইয়ে দল মুখোমুখি হবে স্বাগতিক তুরস্কের।
কম্পাউন্ড মহিলা এককের নকআউট পর্বের শুরুতে রোকসানা আক্তার ও শ্যামলী রায় মসৃণ পথই পেয়েছেন। প্রতিযোগীর সংখ্যা কম হওয়ায় ‘বাই’ পেয়ে দুজনেই কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছেন। দুই সতীর্থের তুলনায় র্যাঙ্কিং রাউন্ডে একটু পিছিয়ে থাকায় পুস্পিতাকে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে লড়তে হবে মালয়েশিয়ার হালিম নুর আয়না ইয়াসমিনের বিপক্ষে।
এদিকে র্যাঙ্কিং রাউন্ডে আলো ছড়িয়েছেন রোমান সানা ও মোহাম্মদ হাকিম আহমেদ রুবেল। সেখানে উপরের দিকে থাকায় ‘বাই’ পেয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছেন দুজনে। র্যাঙ্কিং রাউন্ডে একটু পিছিয়ে থাকায় অবশ্য নকআউট পর্বে লড়তে হয়েছে আরেক প্রতিযোগী সাগর ইসলামকে। দাপুটে জয়ে শুরুর বাধা পেরিয়ে গেছেন তিনিও।
আর্চারি ডিসিপ্লিনের রিকার্ভ পুরুষ এককের র্যাঙ্কিং রাউন্ডে ২১টি দেশের ৪৯ জন পুরুষ আর্চার অংশ নেন। ৭০মিটার দূরত্বে ৭২টি তির ছুঁড়ে ৭২০ এর মধ্যে রুবেল ৬৪৫ স্কোর করে দশম, রোমান সানা ৬৪৪ স্কোর করে একাদশ এবং সাগর ৬২৯ স্কোর করে ষোড়শ স্থান পান।
নকআউট পর্বের শুরুর ধাপেই ‘বাই’ পেয়ে শেষ ষোলোয় ওঠেন রুবেল ও রোমান। সাগর ৬-০ সেটে সুদানের রাশাদ খালিদকে উড়িয়ে তাদের সঙ্গী। রিকার্ভ পুরুষ দলগত বিভাগে রোমান-রুবেল-সাগরকে নিয়ে গড়া বাংলাদেশ ১৯১৮ স্কোর করে পঞ্চম স্থান অর্জন করে। এলিমিনেশন রাউন্ডের প্রথম ধাপে দলের প্রতিপক্ষ সুদান।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এন