দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে সরকার উপার্জন হারানো অসহায় মানুষকে ত্রাণ দিতে শুরু করে। প্রায় সিংহভাগ মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে এমনটা জানানো হলেও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের এক জরিপে উঠে এসেছে উল্টো চিত্র। তারা বলেছে, যাদের খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন, করোনার কারণে উপার্জন হারিয়ে কষ্টে আছেন, দেশের এমন ৬৯ ভাগ মানুষই ত্রাণ পাননি।
এক সম্মেলনে ব্র্যাক এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে। এই র্যাপিড পারসেপশন সার্ভে বা তাৎক্ষণিক ধারণা জরিপের জন্য ব্র্যাকের স্টাফরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও পেশার ২৩১৭ জন মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এর মধ্যে শতকরা ৭৯ ভাগের সঙ্গে ফোনে এবং ২১ ভাগের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনা করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সেসব তথ্য একত্র করে তৈরি করা হয়েছে একটি ডাটাশিট, যেখানে নানান প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন নিম্নবিত্ত মানুষেরা।
জরিপে উঠে এসেছে, ত্রাণ না পাওয়ার সংখ্যা শহরের তুলনায় গ্রামে অনেক বেশি। গ্রামের ৭২ শতাংশ মানুষ উত্তর দিয়েছেন তারা ত্রাণ পাননি। শহরের ক্ষেত্রে এই উত্তর দিয়েছেন ৬২ শতাংশ। অথচ করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রান্তিক এলাকার মানুষই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
জরিপে আরো বলা হয়- শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ মনে করেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে তারা যতো টাকা আয় করতেন, সেই তুলনায় গড়ে ৭৬ ভাগ কমে গেছে উপার্জন। এছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে স্বল্প আয়ের ৬২ শতাংশ মানুষ তাদের সম্পূর্ণ রোজগার হারিয়েছেন।