দেশে করোনাভাইরাসের হটস্পট হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ থেকে রাতের আঁধারে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে করে স্ত্রী ও শিশু সন্তানসহ ২ শতাধিক গার্মেন্টকর্মী পালানোর সময় আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের বহন করা ৫টি ট্রাকও আটক করা হয়েছে।
আটক এ সব পোশাক শ্রমিকরা জানান, কর্মহীন হয়ে পড়ায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের। তার ওপর বাড়ি ভাড়ার চাপ। গত এক সপ্তাহ কোনমতো মাটি কামড়ে পরে থাকলেও আর পারছেন না তারা। এ কারণেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে এ অনিশ্চিত যাত্রা।
শুক্রবার মধ্যরাতে ফতুল্লার পোস্ট অফিস মোড়, মুসলিমনগর, এতিমখানা মোড় ও পঞ্চবটী এলাকা থেকে তাদের আটক করে যার যার বাসায় ফেরত পাঠানো হয়। রাতেই এর সত্যতা নিশ্চিত করেন ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন।
ওসি বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে পরিদর্শক (আইসিপি) আজগর হোসেন, এসআই রাসেল শেখ ও এসআই ফজলুল হক পৃথক এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই সব গার্মেন্টস কর্মীকে তাদের শিশু সন্তানসহ আটক করে নিজ নিজ বাসায় ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এরা কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট যাওয়ার জন্য ৫টি ট্রাক ভাড়া করে রাতের আঁধারে আসবাবপত্র নিয়ে রওয়ানা দিয়ে ছিলেন। পরে খবর পেয়ে ট্রাকসহ তাদের আটক করা হয়েছে। ট্রাকের চালক-হেলপারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানায় পুলিশ।
ওসি বলেন, কয়েকশ’ মাইল পারি দিতে অতিরিক্ত লোকজন আসবাবপত্রের সঙ্গে শিশু সন্তানদের নিয়ে ট্রাকে উঠেছিলেন। যেকোন সময় দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে জেনেও এ ভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে উঠেছিলেন তারা।
ওসি আরও বলেন, এপর্যন্ত প্রায় এক হাজার ব্যক্তিকে আটক করে তাদের বুঝিয়ে আবার বাসায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাওয়া বিপজ্জনক জেনেও লোকজন রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যাওয়ার চেস্টা করছে।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা নৌপথেও টহল জোরদার করেছি। প্রত্যেক এলাকার লোকজনদের সচেতন হতে হবে এবং সবাইকে ঘরে থাকতে হবে।
আর নয়তো মারণব্যাধি করোনাভাইরাস থেকে কেউ রক্ষা পাব না। লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা মেনে ঘরে অবস্থান করার বিনীত অনুরোধ জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
ভিন্নবার্তা/এমএসআই