1. admin-1@vinnabarta.com : admin : admin
  2. admin-2@vinnabarta.com : Rumana Jaman : Rumana Jaman
  3. admin-3@vinnabarta.com : Saidul Islam : Saidul Islam
  4. bddesignhost@gmail.com : admin : jashim sarkar
  5. newspost2@vinnabarta.com : ebrahim-News :
  6. vinnabarta@gmail.com : admin_naim :
  7. admin_pial@vinnabarta.com : admin_pial :
যানজট নিরসনের সব উদ্যোগে ভাটা

১৩ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি গাড়ি পার্কিং মহাপরিকল্পনা

ভিন্নবার্তা প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ৭:৩৬ pm

রাজধানী ঢাকায় গাড়ি পার্কিং সমস্যা দীর্ঘদিনের। এ বিষয়ে নেই কোন নীতিমালা। এ সমস্যা সমাধানে একাধিক উদ্যোগ নেয়া হলেও কোন উদ্যোগই বাস্তবায়ন হয়নি। বিশেষ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় পার্কিং সংকট সবচেয়ে বেশি থাকায় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ২০০৭ সালে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এতে বলা হয়েছিল এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে একদিকে ডিএসসিসির আয় বাড়বে। আরেকদিকে যানজট নিরসন হবে। কিন্ত গত ১৩ বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এভাবে একের পর এক পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও বাস্তবায়ন নেই। এতে যানজট নিরসনের সব উদ্যোগে ভাটা পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, নগরীর যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের ফলে যানজট সমস্যা নিরসনে ২০০৭ সালের প্রথম দিকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গাড়ি পার্কিং মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি ডিএসসিসি। ফলে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের ফলে সব সময় রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় যানজট লেগে থাকছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর বেশিরভাগ ভবনেই পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। ফলে নগরবাসী সড়ক দখল করে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং অব্যাহত রেখেছে। এতে নগরীতে অসহনীয় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে ২০০৭ সালে নেওয়া হয় এ মহাপরিকল্পনাটি। এটি বাস্তবায়ন হলে নগরীতে যানজট কমার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের আয়ও বাড়ার কথা রয়েছে।

এছাড়া, রাজধানীতে গাড়ি পার্কিংয়ের কোনো নীতিমালা না থাকায় এ মহামহাপরিকল্পনা হাতে নেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নানা জটিলতায় পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। খোজ নিয়ে আরো জানা যায়, এই পার্কিং মহাপরিকল্পনাটি হাতে নেওয়ার পর এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ওই সময় একটি খসড়াও তৈরি করে ডিএসসিসির আরবান প্ল্যানিং বিভাগ।

এ নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকার পার্কিং স্পটগুলোতে কী সংখ্যক গাড়ি পার্কিং করা যায় তাও নির্ধারণ করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী গাড়ি পার্ক নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিসিসিতে একটি আলাদা বিভাগ খোলারও কথা ছিল। বিভাগটি পার্কিং স্পট ছাড়াও তৈরি করবে আলাদা পার্কিং স্পেস। সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও পার্কিং টোলও আদায় করবে বিভাগটি। যারা টোল আদায় করবে তাদের আলাদা ড্রেস এবং আইডি কার্ড দেওয়া হবে। সিদ্ধান্ত ছিল, টোল আদায় কর্মীদের অনুমতি ছাড়া রাস্তার দু’পাশে কেউ গাড়ি পার্কিং করতে পারবে না। এতে গাড়ি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু শৃঙ্খলাই ফিরে আসবে না, কমে যাবে যানজটও। কিন্তু অর্থা সংকটসহ নানা জটিলতায় এটি বাস্তবায়ন করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির আরবান প্ল্যানিং বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ার কারণেই পার্কিং মহাপরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, নগরীতে ভালো পার্কিং ব্যবস্থার বিকল্প নেই। কিন্তু ডিসিসির আয় খুবই কম। সরকারি অর্থ ছাড়া এ আয় দিয়ে উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, নগরীর ব্যস্ত এলাকার ফুটপাতে এলোপাতাড়ি গাড়ি পার্কিং করা হচ্ছে। ওইসব এলাকায় দিনের বেশির ভাগ সময় অসহনীয় যানজট লেগে থাকে। এতে নগরবাসীর সময় নষ্ট হচ্ছে এবং পোহাতে হচ্ছে অসহনীয় ভোগান্তি। তিনি বলেন, নগরবাসীর ভোগান্তির কথা মাথায় রেখেই গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য মহাপরিকল্পনাটি হাতে নেওয়া হয়।

ভিন্নবার্তা/এমএসআই



আরো




মাসিক আর্কাইভ