বরগুনায় স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে যাওয়া চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। জাতীয় রোগত্বত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআরের নমুনা পরীক্ষায় বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বুধবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন শাহিন খান।
ওই চিকিৎসকের নাম মাহমুদ মুরশিদ। তিনি বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার কুকুয়া স্বাস্থ্য ক্লিনিকে কর্মরত। তার বাড়ি বরগুনা সদরে।
সিভিল সার্জন বলেন, বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে স্বেচ্ছায় ভর্তি হওয়া ওই চিকিৎসকের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তিনি করোনায় নয়, অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
ওই চিকিৎসক করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে আইসোলেশনে ভর্তি হয় সোমবার। তার নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ওই চিকিৎসকের করোনাভাইরাসে আক্রন্ত না হওয়ার খবরটি আমাদের কাছে অনেক স্বস্তির এবং আনন্দের। বরগুনায় এখন পর্যন্ত কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়ায় গত বৃহস্পতিবার থেকে নিজ বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ওই চিকিৎসক। এ সময় উপসর্গ না কমায় সোমবার বিকালে স্বেচ্ছায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন তিনি।
ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার নমুনা সংগ্রহ করেন। এরপর বরগুনা জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে একটি গাড়িতে করে ওই চিকিৎসকের নমুনা ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা কেন্দ্রে পাঠানো হয়।