নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের মিস্ত্রিপাড়াস্থ বাইপাস মহাসড়কে পাইকারি সব্জি বাজারে এক খুচরা সব্জি দোকানির মালামালসহ পুরো অটো ভ্যানটাই চুরি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় পাইকারি বাজারটির দড়জা সংলগ্ন স্থানে ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যায়,ওই পাইকারি বাজার থেকে প্রতিদিন মালামাল কিনে নিজ হাটে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন চৌধুরীর হাট বালাডাঙ্গার খুচরা দোকানি শাহিনুর। ঘটনার দিন সকাল ৯ টায় আনছার আলি নামে ওই ভ্যানটির মালিক বাজারের দরজার পাশে ভ্যান রেখে শাহিনুর মালামাল (কাচা সব্জি) ক্রয়ে সহায়তা করছিলেন। পুরো বাজার ঘুরে ভ্যানের মধ্যে সব্জি একত্রিত করেন। পরে ভ্যানচালকসহ ব্যবসায়ি গিযে দেখেন তাদেও মালামাল রাখা ভ্যানটি নেই। এতে ওই দরিদ্র দোকানিসহ অটোভ্যান মালিক বিহবল হয়ে পরেন। তারা এর অভিযোগ কার কাছে করবেন। কে তাদের এমন ক্ষতিপুরন দেবে এ নিয়ে কোন কিনারা পাচ্ছেনা। কারন, আনছার আলী এনজিও থেকে লোনে কিস্তির টাকা দিয়ে ভ্যানটি ৪৫ হাজার টাকায় কিনেছেন। একই অবস্থা খুচরা সব্জি দোকানি শাহিনুরেরও।
শাহিনুর জানায়, সেখানে বাধাকপি, পিয়াজ, কাচা মরিচসহ অন্যন্য সব্জি মিলে প্রায় ১০ হাজার টাকার সব্জি ছিল। আমরা জনসম্মুখে ভ্যানটি রেখে বিভিন্ন পাইকারদের কাছে সব্জি কিনে ভ্যানে রাখছিলাম। তবে মালামাল কেনা শেষ করার পরই দেখি ভ্যানটি নেই। এখন কে তার ক্ষতিপুরণ দেবে এমন উত্তর নেই এই বাজার কমিটির কাছে। কথা হয় ওই পাইকারি বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক বজলার রশিদ বাবলুর সাথে। তিনি জানান, ভ্যান চুরির ঘটনাটি অনেক পরে শুনেছি। দেখি কি করা যায়। তবে নিরাপত্তায় নিজের দায়িত্ব নিয়ে সতর্কতার সাথে মালামালসহ ভ্যানটি রাখা উচিত ছিল বলে অন্যন্য ব্যবসায়িরা মন্তব্য করেন।
অপর দিকে সবজি বাজারে প্রবেশ কালে হাইওয়ে রোডে প্রচুর যানজট ও লোক সমাগনের কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে মানুষ। ৩/৪দিন আগে ওই রাস্তায় সবজি বাজার ও বাজারের আশে পাশে এক দিনে ২/৩ টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে সবজি বাজারের সামনে তারাগঞ্জ এলাকার এক
ব্যবসায়ীর সাইকেলের সাথে দুর্ঘটনা ঘটে পোড়াহাট এলাকার মনজুরুলের মোটর সাইকেলের সাথে । এতে মনজুরুলের দু পা থেতলে গেছে। জানা গেছে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । ওই রোড দিয়ে শত শত যানবাহন চলাচল করে। আর রাস্তার সাথে লাগানো হয়েছে বিশাল পাইকারী সবজি বাজার। যদি রাস্তা থেকে ২০০/৩০০ গজ দুরে বাজার লাগানো তাহলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কম থাকতো বলে সচেতন মহলের অভিমত। সেই সাথে রাস্তায় নেই গতি রোধক স্পীড বেকার। ফলে আংতকে রয়েছে ওই বাজারে আসা পাইকার,গ্রাহক,সাধারণ মানুষসহ পথচারীরা।
তারা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই বাজারে যাতায়াত করছে। তারা দুর্ঘটনা থেকে পরিত্রাণ পেতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ভিন্নবার্তা/এসআর