মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার তদন্তে জড়িত কর্মকর্তারা এবং তদন্তে উঠে আসা তথ্যাদি গণমাধ্যমে প্রকাশ না করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদন কার্যতালিকা (কজ লিস্ট) থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদেশের নির্ধারিত দিন রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী আসান উল্লাহ ও সজল মাহমুদ রাসেল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে টেকনাফ মডেল থানার সাময়িক বরখাস্ত এসআই নন্দলাল রক্ষিতের ভাই দেব দুলাল রক্ষিত মামলার তদন্তে উঠে আসা তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ না করার নির্দেশনা চেয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন।
রিটে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের গণমাধ্যমের সামনে উপস্থিত না করার বিষয়েও নির্দেশনা চাওয়া হয়। এছাড়া কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন এই মামলার তদন্ত ও ঘটনা সম্পর্কিত তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয় সচিবসহ সংশ্লিষ্ট চারজনকে বিবাদী করা হয়। এ বিষয়ে শুনানি শেষে আদেশের জন্যে আজ ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেন আদালত। আজ শুনানি নিয়ে রিটটি তালিকা থেকে বাদ দিয়ে আদেশ দেন।
গত ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় গত ৫ অগাস্ট সিনহার বোন শাহরিয়ার শারমিন ফেরদৌস টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরদিন ওসি প্রদীপসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
ভিন্নবার্তা/এসআর